সুশান্ত সিংহ রাজপুত
সুশান্ত নেই আজ তেরো দিন। এই সত্যিটা মেনে নিয়ে তাঁর পরিবারের মানুষজনও শক্ত হওয়ার মরিয়া চেষ্টা করছেন ক্রমশ। সুশান্তের স্মৃতিকে সযত্নে লালন করতে চান তাঁরা। আর সে জন্যই তাঁরই নামে সুশান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে গঠন করা হচ্ছে ‘সুশান্ত সিংহ রাজপুত ফাউন্ডেশন’।
তথাকথিত গডফাদার না থাকা তরুণ প্রতিভাবানদের পাশে দাঁড়াবে এই সংস্থা, সুশান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এমনটাই। তাদের তরফ থেকে আজ এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, সেখানে শুধুই ঘরের ছেলের স্মৃতিচারণ। লেখা, ‘‘ওকে বেঁধে রাখা যেত না, সব ব্যাপারে ছিল এক অপার কৌতূহল, কথা বলত বেশি। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসত, ভালবাসত সেই স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখতে। আমাদের পরিবারের গর্ব ছিল ও...নিজের টেলিস্কোপকে খুব ভালবাসত। ওই টেলিস্কোপে চোখ লাগিয়ে তারা দেখত সুশান্ত...’’
সুশান্ত নেই, এখনও মেনে নিতে পারছেন না তাঁর পরিজনেরা। চেষ্টা করছেন। কিন্তু ওই প্রাণখোলা হাসি আর কোনওদিন শুনতে পাবেন না, তা মনে পড়তেই মুষড়ে পড়ছেন তাঁরা।
বিবৃতির পরতে পরতে তাই বিষাদ জড়িয়ে। পরিবারের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, ‘‘ওর চোখের সেই দীপ্তি, ওর হাসি, বিজ্ঞান নিয়ে ওর সারাদিন চর্চা আর কিছুই দেখতে পারব না তা মানতে পারছি না আমরা। আমাদের যা ক্ষতি হয়ে গেল তা আর পূরণ হবে না কখনও।’’
বিহারের পটনার রাজীব নগরে যেখানে সুশান্ত জন্মেছিলেন সেখানেই এক স্মৃতিসৌধ বানানো হবে তাঁর। সুশান্তের বই, টেলেস্কোপ, দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিস সযত্নে রাখা থাকবে সেখানে। তাঁর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে সুশান্তের সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিও সচল রাখা হবে।
সুশান্ত তাঁর ফ্যানদের খুব ভালবাসতেন। তিনিই বোধহয় একমাত্র অভিনেতা যিনি তাঁর ফ্যানদেরও ইনস্টাগ্রামে মাঝেসাঝে ‘ফলো ব্যাক’করতেন। আজ পরিবারের বিবৃতিতে সে কথারই ঝলক। তাতে লেখা, ‘‘প্রতিটি ফ্যানকেই মন থেকে ভালবাসত আমাদের বাড়ির ছেলে, যে ভাবে আপনারা ওর পাশে ছিলেন, যে ভাবে আপনাদের প্রার্থনায় ওর কথা মনে করেছিলেন সে জন্য ধন্যবাদ। গুড বাই সুশান্ত। ইতি, সুশান্তের পরিবার।’’
আরও পড়ুন- বলেছিলাম ইন্ডাস্ট্রির প্রেম, স্বস্তিকা বুঝল দেহব্যবসা: শ্রীলেখা
গত ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাটে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন এই তরুণ অভিনেতা। কেন তিনি আত্মহত্যা করলেন তা এখনও জানা যায়নি। তদন্ত চলছে। কেউ বলছেন, বলিউডি নির্লজ্জ স্বজনপোষণের শিকার হয়েছেন তিনি। আবার কারও মতে ব্যক্তিগত জীবনে নানা টানাপড়েন। তবে তেরো দিন কেটে গেলেও সুশান্তের শোক থেকে যে বেরিয়ে আসতে পারছেন না তাঁর অপার ভক্তকুল, ফেসবুক, ইনস্টাই তার প্রমাণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy