সুশান্ত সিংহ রাজপুত
সুশান্তের জীবনী চিত্রের নির্মাতাদের নোটিস ধরাল দিল্লি উচ্চ আদালত। প্রয়াত অভিনেতার বাবা কেকে সিংহের নিষেধাজ্ঞার দাবিতে আদালতের এই সিদ্ধান্ত।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের জীবন এবং মৃত্যুর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে ছবি তৈরির কথা উঠছে গত বছর থেকেই। ২০২০ সালের ১৪ জুন সুশান্তের বান্দ্রার আবাসনে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তার পর থেকে উত্তাল গোটা দেশ। প্রশ্ন ওঠে, আদৌ কি অভিনেতার মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা? নাকি এমন সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে কারও প্ররোচনা? এমনকি হত্যার প্রসঙ্গও ওঠে সে সময়ে। একাধিক পরিচালক এই বিষয়ে চিত্রনাট্য লিখতে চেয়েছিলেন। এমনকি সুশান্তের মতো দেখতে ‘টিকটক’ তারকাকে অভিনেতার ভূমিকায় দেখা যাবে, এমন কথাও শোনা যাচ্ছিল।
কিন্তু সুশান্তের পরিবার সে বিষয়ে আপত্তি জানাতে আদালতের দ্বারস্থ হল। প্রয়াত অভিনেতার বাবা কেকে সিংহ দিল্লি উচ্চ আদালতে সুশান্তের জীবনী চিত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করার আবেদন জানালেন। তারই ভিত্তিতে নির্মাতাদের নোটিস ধরালেন বিচারপতি মনোজ কুমার ওহরি। যেখানে বলা হয়েছে, অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবনের কোনও তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। এতে অভিনেতা ও তাঁর পরিবারের গোপনীয়তা রক্ষার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হবে। সুশান্তের উত্তরসুরীদের অনুমতি ছাড়া কোনও চলচ্চিত্র বা লেখা প্রকাশ করা যাবে না।
রাজপুতের বাবার আবেদনে বলা হয়েছে, সুশান্তের মৃত্যু-তদন্ত এখনও বিচারাধীন। যে ছবিটিকে নিষেধ করার কথা বলা হয়েছে, তা আদপে ঘটনার সাক্ষী এবং তদন্তকারী আধিকারিকদের প্রভাবিত করতে পারে। এমনকি জনসাধারণের মানসিকতায় প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযুক্তের ঘনিষ্ঠরাই এই ছবির পিছনে রয়েছেন বলে সুশান্তের বাবা মনে করছেন। আবেদনপত্রের দাবি, অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবেই এই ছবিটি বানানো হচ্ছে।
কেকে সিংহের আইনজীবী অক্ষয় দেব বলেছেন, ‘‘বিচারাধীন তদন্তকে যাতে প্রভাবিত না করতে পারে, তাই কোনও প্রকার চলচ্চিত্র বা বই প্রকাশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চায় সুশান্তের পরিবার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy