সানি দেওল। ছবি: সংগৃহীত।
একদিকে সানি দেওলের ছবি ‘গদর ২’ বক্স অফিসে বাজিমাত করেছে। মাসের শেষে এসে ছবির বক্স অফিসে আয়ের অঙ্ক ৫০০ কোটি ছুঁইছুঁই। দীর্ঘ দিন বক্স অফিসে খরার পরে এমন সাফল্যের মুখ দেখেছেন ধর্মেন্দ্র-পুত্র। অন্যদিকে নিলামে উঠেছে অভিনেতার জুহুর বাড়ি। অভিনেতার মাথায় ৫৫ কোটি টাকার ঋণের বোঝা। তা শোধ করতে পারেননি। ঋণের সেই টাকা ফেরত পেতে ৫৬ কোটি টাকায় ‘সানি ভিলা’ নিলামে তোলার নোটিস জারি করে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক। যদিও ওই নোটিস জারি করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহারও করে ব্যাঙ্ক। পরে ‘সানি ভিলা’ ও তার নিলাম নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তা নিয়ে বেশি আলোচনা করা থেকেও সংবাদমাধ্যমকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন সানি। তবে এ বার আর চুপ করে থাকতে রাজি নন সানি। তাঁদের বাড়ি নিলামে ওঠা প্রসঙ্গে একেবারে কড়া জবাব দিয়েছেন।
সানির কথায়, ‘‘আমি এতদিন কিছু বলিনি কারণ আমি জানি কী সমস্যা, সেটার সমাধান করছিলাম। কিন্তু নিজের বাড়ির বিক্রির খবর সংবাদমাধ্যমে দেখি ভীষণ কষ্ট হয়। আমি বুঝতে পারছি না এতে আখেরে তাদের লাভটা কোথায়? যদি কোনও কিছু খারাপ হয়ে থাকে সেটা আমার হয়েছে।’’
বাড়ি নিলাম প্রসঙ্গ যখন চলছে সেই সময় অভিনেতা জানান ছবি প্রযোজনা করতে গিয়েই নাকি তিনি দেউলিয়া হয়ে যান। সানির কথায় ‘‘অনেক বছর আগে আমি যখন প্রযোজনা শুরু করি, তখন বিনোদনের ব্যবসাটা অন্য রকম ছিল। আমরা যাঁদের সঙ্গে ব্যবসা করেছি, তাঁরা সবাই আমাদের চেনা-পরিচিতের গণ্ডির মধ্যে। এখন ব্যবসাটা অনেক বেশি জটিল।’’ তবে অভিনেতা একটা দিক স্পষ্ট করেই বলেন, ‘‘যখন তুমি ব্যবসা করছ, সেটা সফল না হলেও তোমার সম্পত্তি থাকলে সেটা দিয়ে ধার বাকি মেটানোর চেষ্টা করবে তাই না। এই ভাবে কাজ হয়।’’
তবে তাঁর বাড়ি নিয়ে চারপাশে যে পরিমাণ জলঘোলা হয়েছে তাতে খানিক বিরক্ত হয়েই অভিনেতা বলেন, ‘‘এটা আমার এবং আমার বাবার কষ্টার্জিত টাকা। তাই এটা নিয়ে কোনও কথা হোক আমরা চাই না। কিন্তু কিছু মানুষ এ সব নিয়ে আলোচনা করেই মজা পান, তাঁরা করতে থাকুন। আমার প্রভাব পড়ে না কারণ আমি জানি আমি কী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy