(বাঁ দিকে) শাহরুখ খান। সুনীল পাল (ডান দিকে)। ছবি-সংগৃহীত।
রাত গভীর হলেই বসতির দরজায় দেখা যেত তাঁকে। যেমন নিঃশব্দে আসতেন, তেমনি নিঃশব্দে ফিরেও যেতেন। বাইরের কেউ টেরটি পেতেন না। শুধু যাঁরা জানতেন, তাঁরা দেখতেন মুগ্ধ হয়ে। তিনি বাদশা।
বলিউডের কিং খান, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে আসমুদ্র হিমাচল মুগ্ধ করে রেখেছেন তাঁর রুপোলি জাদুতে। কিন্তু তার বাইরেও তাঁর মানবিকতার কারণে তাঁকে নায়কের আসনে বসিয়ে রেখেছেন ভক্তরা। শুধু অভিনয় নয়, প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েও একাধিক বার মন জয় করেছেন শাহরুখ খান। সম্প্রতি তেমনই এক ঘটনার কথা উঠে এসেছে চর্চায়। একটা সময় ছিল, যখন প্রায়ই রাত করে মুম্বইয়ের এক বসতিতে যেতেন কিং খান। স্থানীয় এক বাসিন্দার ঘরে যখনই বিশেষ কোনও অনুষ্ঠান হত, সেখানে পৌঁছে যেতেন তিনি।
সম্প্রতি কৌতুকশিল্পী সুনীল পাল এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখের সম্পর্কে জানিয়েছেন এক অজ্ঞাত সত্য। সুনীল জানিয়েছেন, শাহরুখের এক কর্মীর সঙ্গে একই বসতিতে থাকতেন তিনি। তখন প্রায়ই শাহরুখ সেই কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে আসতেন সেই বসতিতে। সুনীল বলেছেন, ‘‘সুভাষ নামে শাহরুখের এক কর্মী ছিলেন। তখন শাহরুখ প্রায়ই আমাদের বসতিতে আসতেন। চার থেকে ছ’মাস অন্তরই সুভাষের বাড়িতে দেখা করতে আসতেন শাহরুখ। সুভাষের সন্তানের জন্মদিন হোক বা অন্য কোনও অনুষ্ঠান, শাহরুখ আসতেন। যখন অনেকটা রাত, অন্ধকার হয়ে যেত চারদিক, তখন তিনি আসতেন। রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যেই এসে দেখা করে যেতেন তিনি। একদম নিঃশব্দে আসতেন, ১০-১৫ মিনিট থেকে চলে যেতেন।’’
শাহরুখের সামনে তাঁকে নকল করে দেখিয়েছিলেন বলেও জানান সুনীল। তাঁর কথায়, ‘‘আমি একবার সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলাম। সেখানে মোরানি ব্রাদার্স আমায় ২০ হাজার টাকা দিয়েছিল। এক স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠান ছিল। হয়ে যাওয়ার পরে শাহরুখ দর্শকদের সঙ্গে শিল্পীদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। কোরিয়োগ্রাফার গণেশ হেগড়েও ছিলেন। তিনি আমায় গ্রিন রুমে ডেকে শাহরুখ খানের সামনে পারফর্ম করতে বলেন। শাহরুখ গ্রিনরুমে ঢুকলেন হাতে পানীয়ের গ্লাস ও সিগারেট নিয়ে। ওঁর সামনেই আমি ওঁর কয়েকটি সংলাপ ওর মতো করে বলে দেখিয়েছিলাম।’’
উল্লেখ্য, এই সময় শাহরুখ এখন তাঁর পরবর্তী ছবি ‘কিং’ নিয়ে ব্যস্ত। তাঁকে পর্দায় শেষ দেখা গিয়েছে ‘ডাঙ্কি’ ছবিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy