অভিনেতা সুনীল শেট্টি। ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছরেই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর তিন দশক পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু কেরিয়ারের শুরুর দিনগুলো অভিনেতা সুনীল শেট্টির কাছে খুব সহজ ছিল না। পরে যখন তারকা হিসাবে পরিচিতি পেলেন, অভিনেতার সামনে ছিল বিলাসবহুল জীবনযাপনের হাতছানি। কিন্তু সেই প্রলোভনের ফাঁদে পা দেননি ‘মোহরা’ ছবির বিশাল।
ইন্ডাস্ট্রিতে এই দীর্ঘ সময় টিকে থাকার এবং সর্বোপরি সুখী পরিবার তৈরির নেপথ্যে কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, তা খোলসা করেছেন সুনীল। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজের শুরুর দিনগুলোকে ফিরে দেখতে গিয়েই গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা অনুরাগীদের উদ্দেশে বলেছেন তিনি। সুনীল বলেন, ‘‘আমি মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়েছি। পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা খুব বেশি ছিল না। কিন্তু বাবা-মা আমাকে এবং আমার বোনদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার শিক্ষা দিয়েছিলেন।’’ সাধারণ জীবনযাপন করা এবং অর্থ সঞ্চয় করা সুনীল তাঁর অভিভাবকদের থেকেই শিখেছিলেন বলে জানিয়েছেন।
সন্তানদের শিক্ষা এবং দৈনন্দিন জীবনের উন্নতির জন্যই উপার্জনের সিংহভাগ খরচ করতেন সুনীলের বাবা-মা। অভিনেতার কথায়, ‘‘আজকে ফিরে দেখলে বিষয়টার গুরুত্ব বুঝতে পারি।’’ ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম সারির নায়কদের মধ্যে জায়গা করে নেওয়ার পরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি সুনীলকে। তিনি বলেন, ‘‘তখন মাঝেমধ্যেই জাঁকজমকপূর্ণ জীবনযাত্রার হাতছানি আসত। কিন্তু আমার মধ্যবিত্ত মানসিকতা আমাকে ভবিষতের কথা ভাবতে শিখিয়েছিল।’’
সুনীলের এই চিন্তাভাবনায় তাঁকে সমর্থন করেছিলেন স্ত্রী মানা শেট্টি। কারণ সুনীল বলেছেন, ‘‘ও নিজেও মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়েছিল বলে আমাদের চিন্তাধারা একই রকমের। মাঝেমধ্যে হয়তো একটু-আধটু বিলাসিতা করেছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাড়ি এবং সন্তানদের শিক্ষায় আমরা সবথেকে বেশি খরচ করেছি।’’ নতুন প্রজন্ম চটজলদি সাফল্য ছুঁতে চায়। কিন্তু সেই সাফল্য বেশি দিন স্থায়ী হয় না বলেই বিশ্বাস করেন ‘হেরা ফেরি’ ছবির অভিনেতা। জীবনে যশ-খ্যাতিকে ম্যারাথন দৌড়ের দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখা উচিত বলে মনে করেন সুনীল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy