স্টার জলসার এক ধারাবাহিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের নেতার ভূমিকায় বছর দেড়েক পরে ছোটপর্দায় ফিরেছেন সুজয়প্রসাদ।
বছর দেড়েক পরে ছোটপর্দায় ফিরেছেন। স্টার জলসার এক ধারাবাহিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের নেতার ভূমিকায়। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। জনপ্রিয় বাচিকশিল্পী ইদানীং পর্দারও পরিচিত মুখ।
বড় পর্দায় ‘বিদায় ব্যোমকেশ’ থেকে ওয়েব সিরিজ ‘নকল হিরে’। খল চরিত্রে নজর কেড়েছেন সুজয়। ছোট পর্দায় এর আগে জি বাংলার ‘ত্রিনয়নী’। এ বার স্টার জলসায় ‘তিতলি’। দুটোই খল চরিত্র।
একই ধারার চরিত্রে আটকা পড়ে যাচ্ছেন না?
সুজয়ের জবাব, “খল চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ অনেক বেশি, চ্যালেঞ্জও। তা ছাড়া এক একটা চরিত্রের ভাবনাও তো এক এক রকম। তিতলিতেই যেমন আমার চরিত্রটা জঙ্গিনেতার হলেও তার নিজস্ব একটা আদর্শ আছে। সে বিশ্বাস করে, তার কাজটা আসলে বিপ্লবের সামিল।”
তবে প্রযোজক-পরিচালক সুশান্ত দাসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অভিনেতা। তাঁর দাবি, কাজের মান বা অভিজ্ঞতায় তো বটেই, আরও একটা বিষয়েও বিনোদন জগতের অনেকের চেয়েই এগিয়ে সুশান্ত। “আমাকে এতটা সম্মান এর আগে প্রায় কেউই দেয়নি। শিল্পী হিসেবে আমার অন্য পরিসরগুলোর প্রতি দায়িত্বকে সমান গুরুত্ব দেওয়া, আমি মানুষটাকে এতখানি সম্মান- সবটাতেই সুশান্ত অভিভূত করেছেন আমাকে,” বলছেন সুজয়।
ইন্ডাস্ট্রি কি তবে যোগ্য সম্মান দিচ্ছে না তাঁকে?
অভিনেতা খোলাখুলিই বলছেন, ‘বিদায় ব্যোমকেশ’ বা ‘নকল হিরে’তে তাঁর কাজ যথেষ্ট সাড়া ফেলা সত্ত্বেও ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে সে ভাবে আর ডাকেনি।
আক্ষেপ আছে আরও। “টলিউডের কাজ এখনও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একটা বাঁধা গতে চলে। ছক ভাঙার সাহস খুব বেশি লোক দেখান না। তা ছাড়া বাংলা বিনোদনের দুনিয়ায় পেশাদারিত্বের সংজ্ঞাটা বদলানোরও সময় এসেছে।” সোজাসাপ্টা দুঃখের কথা ভাগ করে নিলেন সুজয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy