গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ভোট নিয়ে আমি সত্যিই আর কিছু ভাবি না। আসলে কে জিতল, কে হারল এ সব নিয়ে আমার কোনও উৎসাহ নেই। তার কারণ একটাই, কাকে বিশ্বাস করব?— জানি না।
মানুষের হিতসাধন নিয়ে এই সময় একটা ‘সার্কাস’ শুরু হয়। ট্র্যাপিজ়ের একটা ভয়ঙ্কর খেলা চলে। ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে ঝুলে থাকে জনতা। তার পরে আবার এক রকম জীবন। প্রতিশ্রুতির বন্যা। কিন্তু নির্বাচনের পরে সে সব উধাও।
সক্রিয় রাজনীতিতে আসবার আমন্ত্রণ দু’এক বার এসেছে। ভোটের প্রচার করার জন্য মোটা টাকার প্রস্তাবও পেয়েছি। গ্রহণ করিনি। আমার কি লোভ নেই? না কি আমি অতি ধনী একজন উদ্যোগপতি?
সমাজমাধ্যমে একটা ভিডিয়োতে ক’দিন আগে দেখলাম, একজন সিনেমা জগতের মানুষ ভোট নিয়ে নিজের মতো করে কী সব যেন বলে চলেছেন! আমার ধারণা, ওঁকে ওঁর পেশাদারিত্ব নিয়ে ‘ব্রিফ্’ করা হয়নি, তাই ও ভাবে বলেছেন। এ সব ক্ষেত্রে তা হয়ও না বোধহয়। ফলে উনি ওঁর মতো করে বলে যাচ্ছেন! তার কতটা কী অন্যদের জন্য জরুরি, কে শুনছে, কে অন্য অর্থ বানাচ্ছে, না ভেবেই বলে যাচ্ছেন!
ভোটের বাজারে অনেকেরই জনপ্রতিনিধি হওয়ার বাসনা জাগে। ভোট চলে গেলে নিজের আখের হিসাব করে সবাই। এর মধ্যে যাঁরা ব্যতিক্রমী, তাঁরা ভয়ঙ্কর ভাবে একা।
মাঝেমাঝে ভাবি, এই যে এত ‘প্রাইড ওয়াক্’ (রূপান্তরকামী বা এলজিবিটি বা উভকামীদের হাঁটা) হয়, সেখানে কোনও জনপ্রতিনিধিকে তেমন করে দেখি না কেন? কোনও রূপান্তরকামী কি সাংসদ হতে পারেন না? আসলে এই রাজনীতির গল্পে কোনও নায়ক নেই! তাই এ সব কথা কেউ তোলে না। বলে না।
ভোটের বাজারেই আগামী ৪ মে আমার ও এক শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বৈত উপস্থাপনা ‘জার্নিস’-এর অনুষ্ঠান আছে, শিশির মঞ্চে। সেখানে আমি শিল্পী হিসেবে আমার রাজনীতির কথা বলব। তবে সে রাজনৈতিক চেতনার কেন্দ্রে থাকবে মানুষ— আদি ও অকৃত্রিম সাধারণ জনতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy