সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।
‘পোশাকে লজ্জা নয়। অস্তিত্ব ঢাকে।’ আর সেই পোশাকের ভেতরে আস্ত একটা মানুষ লুকিয়ে বসে থাকে। কেবল তার দেহ নয়। কোনটা অশ্লীল, আর কোনটা শ্লীল? এই প্রশ্ন তো প্রাচীন। কিন্তু তার তোয়াক্কা করলেন না সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। পাঠ করলেন সমরেশ চৌধুরীর কবিতা। মানুষের আদিমতম প্রবণতার কথা বলা হল ‘নিরাভরণম’-র মধ্যে দিয়ে। একটা গভীর শিকড়ের শব্দ ছন্দ পড়া হয়েছে এই কবিতায়।
সেই যেন শিকড়ে ফিরে যাওয়ার কথা। আদিবাসী সমাজের যৌনতার কথা। এই ভাষ্যপাঠের বিশেষ অলঙ্কার দেবজ্যোতি মিশ্রের সুর। কবিতার পংক্তিগুলোকে যেন আরও প্রাণ দিয়েছে। এই কাজ করতে গিয়ে সুজয়প্রসাদ এক বারের জন্যও ট্রোলিং নিয়ে ভাবেননি, তা নয়। আনন্দবাজার ডিজিটালকে বললেন, ‘‘আমি তো যাই করি, লোকে আমাকে ট্রোল করে। আমার ধারণা, অশ্লীলতা ও যৌনতার মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, সেটা বোঝে না অনেকেই। আর তাই অনেকের এত ছুৎমার্গ। কতটুকু শ্লীল আর অশ্লীল, সেটা মনে হয় শিল্পীর উপরেই ছেড়ে দেওয়া উচিত।’’
তিনদিন আগে ‘৩৬০ ডিগ্রি অ্যাট কলকাতা’ চ্যানেলে ‘নিরাভরণম’ ভিডিয়োটি মুক্তি পেয়েছে। এক ভিন্ন পরিবেশনায় কোথাও ‘আদিম’ আর ‘আজ’ মিলে গিয়েছে এই ভাবনায়।
আরও পড়ুন: ‘বৌদি এসে গিয়েছে!’ সেই আনন্দে নাচলেন বরুণ-সারা
আরও পড়ুন: ‘কন্যাদান’ ধারাবাহিকে গান গাইলেন নচিকেতা, ‘হারানো সুর’-এ অন্বেষা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy