Advertisement
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
Sujan Dasgupta Death

নিজের ফ্ল্যাট থেকে দেহ উদ্ধার একেনবাবুর স্রষ্টা সুজন দাশগুপ্তের, এখনও জানেন না ‘একেন’ অনির্বাণ

বুধবার সকালে লেখকের কলকাতার বাড়ি থেকে তাঁর দেহ পাওয়া যায়। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। এ প্রসঙ্গে, পর্দার একেন অর্থাৎ অনির্বাণ চক্রবর্তী বলেন, “আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না।’’

প্রয়াত সুজন দাশগুপ্ত।

প্রয়াত সুজন দাশগুপ্ত। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:২৬
Share: Save:

প্রয়াত একেন চরিত্রের স্রষ্টা সুজন দাশগুপ্ত। বুধবার সকালে লেখকের কলকাতার বাড়ি থেকে তাঁর দেহ পাওয়া যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তাঁর কিছু ক্ষণের মধ্যেই।

এমনিতে আমেরিকাবাসী হলেও বেশ কয়েক মাস হল তিনি কলকাতাতেই ছিলেন। এই বইমেলাতেই তাঁর নতুন বই প্রকাশ পাওয়ার কথা। ‘দ্য একেন’ ছবির সাংবাদিক সম্মেলনেও তিনি হাজির ছিলেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। শেষ ৫০ বছর ধরে তিনি থাকতেন আমেরিকাতেই। বুধবার সকালে তাঁর বাইপাস সংলগ্ন ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর দেহ। শোনা যাচ্ছে, তাঁর স্ত্রী মঙ্গলবারই শান্তিনিকেতনে গিয়েছেন। বুধবার সকালে পরিচারিকা এসে কলিং বেল বাজান। কিন্তু কেউ দরজা না খুললে তার পর দরজা ভাঙতে হয়।

এ প্রসঙ্গে, পর্দার একেন অর্থাৎ অনির্বাণ চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না। দশ মিনিট হল খবরটা পেয়েছি। সব কিছু গুলিয়ে যাচ্ছে। কিছু ভাবতে পারছি না এখন।” প্রসঙ্গত অনির্বাণের মঞ্চ থেকে পর্দায় আসার সফর শুরু হয়েছিল এই একেনবাবুর হাত ধরেই। এখনও পর্যন্ত একেনবাবুর মোট ছ’টি সিজ়ন দেখানো হয়েছে ‘হইচই’-এ। চিত্রনাট্য পদ্মনাভ দাশগুপ্ত নিজের মতো গড়ে নিলেও মূল গল্প ছিল সুজনেরই। খুব অল্প সময় বাঙালি গোলগাল, হাসিখুশি, ভুল-বকা গোয়েন্দাকে আপন করে নিয়েছিলেন। এই সিরিজ়ের বিপুল জনপ্রিয়তার পরই একের পর এক ছবির প্রস্তাব আসা শুরু করে অনির্বাণের কাছে।

বাঙালি বরাবরই গোয়েন্দাপ্রিয়। ফেলুদা-ব্যোমকেশদের ভিড়ে একেনবাবুও দিব্যি জায়গা করে নিয়েছিলেন। আনন্দবাজার অনলাইনকে এই প্রসঙ্গে সুজন বলেছিলেন, ‘‘দর্শকের এত আগ্রহ এত ভালবাসা পেয়ে সত্যিই আপ্লুত। আমার একেন এখন সবার, তা নিয়ে হিংসা হয় না। তবে মাঝেমাঝে বুঝতে পারি না, কী লিখব না লিখব। আমার একেন বন্দুক ধরত না। পর্দার একেন বন্দুক নিয়ে ছোটে। না খারাপ লাগে না। বেশ ভাল লাগে। পদ্মনাভ-অনির্বাণ, ওরা এত সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে, আমার খারাপ লাগার কোনও জায়গাই নেই। আর আমার যখনই মনে হয় নতুন কিছু যোগ করতে হবে, তা সঙ্কোচ না করেই বলে দিই। ওরাও কিন্তু আমার কথা শোনে।”

সুজনের মেয়ে সায়ন্তনীও আমেরিকাবাসী এবং লেখিকা। স্ত্রীও লেখেন। একেনবাবুর পর আরও এক মহিলা গোয়েন্দা চরিত্র তৈরির কাজে মন দিয়েছিলেন সুজন ও তাঁর স্ত্রী। সেই গল্প কত দূর এগিয়েছিল, তা জানা যায়নি অবশ্য। সুজনের মৃত্যু প্রসঙ্গে এখনও সুজনের পরিবারের তরফে কিছুই জানানো হয়নি। তাঁর কলকাতার নম্বরে অনেক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বেজে গিয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Ekenbabu Death Writer
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy