সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের প্রায় ১৩ বছর পর পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে আসেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। পরিচালকের ছেলে আকাশ চট্টোপাধ্যায় তখন ছোট। বোর্ডিং স্কুলেই পড়াশোনা করতেন। বাবার জীবনে নতুন মানুষকে মেনে নিতে পেরেছিলেন কি অগ্নিদেবের ছেলে? আকাশের জন্মদিনে সেই শুরুর দিনগুলোয় ফিরে গেলেন সুদীপা। ৯ জুন তাঁর জন্মদিনে পুরনো ছবি পোস্ট করেছেন সুদীপা। জন্মদিনের শুভেচ্ছাবার্তা জানাতে গিয়ে তিনি লেখেন, “আমি কখনও তোমার মা হতে পারব না। আমাদের সম্পর্কটাকে কোনও নামে বাঁধতেও চাই না। কিন্তু এই ভাবেই একে অপরের পাশে থাকতে চাই।”
আকাশকে বড় ছেলের মতোই ভালবাসেন তিনি। তাঁর জন্মদিনে কী বিশেষ আয়োজন হচ্ছে চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে? আকাশের সঙ্গে সুদীপার সম্পর্কের সমীকরণই বা কেমন? তা জানতে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় তাঁর সঙ্গে। সুদীপা বলেন, “আকাশ যে আমার মনে কতটা জুড়ে তা বোঝাতে পারব না। সুন্দর সমতা বজায় রেখেছে নিজের মা আর আমার সঙ্গে। আকাশের মায়ের সঙ্গেও আমার এখন ভাল সম্পর্ক। কোভিডে ওর মা যখন গত হন তখন আমি গিয়েছিলাম। ওর সঙ্গে ছিলাম।”
আকাশের জন্মদিনে সকাল থেকে ব্যস্ত সুদীপা। তিনি বলেন, “ওর জন্মদিনে পঞ্চব্যাঞ্জন সাজিয়ে ওকে খাওয়ানো হয়। শনিবার একটা বড় পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। সেটা অবশ্য শুধুই ওর বন্ধুদের জন্য। আমাদেরও যেতে বলে, কিন্তু কেন ছোটদের মাঝে যাব? ওরা মজা করুক, এটাই চাই।” বর্তমানে তাঁরা দু’জনেই ভাল বন্ধু।
অনেক কঠিন মুহূর্তে একে অপরের পাশে ছিলেন এবং আছেন। আবার তাঁদের মধ্যে ঝগড়াও হয় খুব। কিন্তু প্রথমের দিকে সম্পর্কটা মোটেই এমন ছিল না। সুদীপা বলেন, “প্রথমে ও যখন হস্টেল থেকে আসত, বাবার জীবনে অন্য মহিলা বা বাবার বান্ধবী হিসাবে আমায় একেবারেই মেনে নিতে পারেনি। এক দিন আমিই আকাশকে বলি, তোমার মায়ের জায়গা আমি কখনও নেব না। কিন্তু আমরা ভাল বন্ধু তো হতে পারি। সে দিনই ও চমকে যায়। তবে আমার আর অগ্নিদেবের আইনি বিয়ের দিন আকাশ আসেনি। আমায় বলেছিল এ দিন মায়ের সঙ্গে থাকতে চায় সে। যাতে ওর মা ভুল না বোঝে। সত্যি বলছি আকাশের মতো ছেলে হয় না।”
সুদীপার ছেলে আদিদেব এবং আকাশের সম্পর্কও তেমনই সু্ন্দর। দাদা আকাশের কথা ছাড়া কোনও কথা শুনতে চায় না আদি। বাবার থেকেও দাদার উপরই বেশি ভরসা ছোট্ট আদির। আদি আর আকাশ— দুই ছেলেকে নিয়ে আনন্দেই রয়েছেন অগ্নিদেব এবং সুদীপা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy