অগ্নিদেব, আদিদেব, সুদীপা
রথযাত্রার সকাল মানেই অগ্নিদেব-সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে সাজো সাজো রব। সারা বছরের সমস্ত দুঃখ সরিয়ে এ দিন চট্টোপাধ্যায় বাড়ি কোমর বেঁধে নেমে পড়ে দুর্গাপুজোর আয়োজনে। কেমন সেই পুজোর প্রাক-প্রস্তুতি? প্রতি বছর এই দিনেই পরিচালক অগ্নিদেবের বাড়ির দুর্গা প্রতিমার কাঠামো পুজো হয়। সেই রীতি মেনে সোমবার সকাল সকাল আদিদেবকে সঙ্গে নিয়ে কুমোরটুলিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁরা। আনন্দবাজার অনলাইনকে সুদীপা জানিয়েছেন, ‘‘চট্টোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গা প্রতিমা গড়েন শিল্পী পশুপতি রুদ্র পাল। তাঁর কর্মশালাতেই এ দিন কাঠামো পুজো হয়। আমরা উপস্থিত ছিলাম সেখানে। পাশাপাশি, বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত জগন্নাথ দেবের সঙ্গে বলভদ্র ও সুভদ্রার পুজোও হয়।’’ অভিনেত্রী-সঞ্চালিকার বাড়ির বিশেষ রীতি, এ দিন জগন্নাথ দেবকে ৫৬ ভোগের অন্যতম ‘কণিকা ভোগ’ বা বিশেষ ভাবে বানানো মিষ্টি পোলাও দেওয়া হয়।
সুদীপার কথায়, জগন্নাথ দেব পুরীর রথে আসীন হলেই বাড়ির বিগ্রহের কাছে অনুমতি নিয়ে তাঁরা কুমোরটুলির উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানেও কিছু বিশেষ নিয়ম মানেন চট্টোপাধ্যায় পরিবার। যা তাঁদের একান্ত নিজস্ব। যেমন, কাঠামো পুজোর আগে প্রথমে দেব বিশ্বকর্মার অনুমতি নেওয়া হয়। তার পর মন্ত্রোচ্চারণ করে আবাহন করা হয় মাকে। মায়ের কাঠামো পূজিত হয় মালা, ফুল দিয়ে। এর পরেই গঙ্গা নিমন্ত্রণ। এ সবের পালা মিটলে নিজের হাতে কাঠামোয় প্রথম মাটি দেন অগ্নিদেব।
বাড়িতে জগন্নাথ দেবের পুজো। কুমোরটুলিতে কাঠামো পুজোর মাধ্যমে মায়ের আবাহন। এ দিন নিশ্চয়ই নিরামিষ খাবার খান সুদীপারা? অভিনেত্রী জানিয়েছেন, সব পুজোতেই বাড়িতে নিরামিষ রান্না হয়। ব্যতিক্রম এই পুজো। এক মাত্র এই দিন তাঁরা বাড়ির বাইরে আমিষ খাওয়াদাওয়া সারেন। কারণ? বাড়িতে জগন্নাথ দেবের পুজো বলেই নিরামিষ রান্না। কিন্তু দেবী দুর্গা হিন্দুশাস্ত্র মতে শিবের ঘরনি। তাই সধবা। ‘‘মায়ের জন্য আমরা কেউ নিরামিষ খেতে পারি না। তাই বাড়ির বাইরে এ দিন খাওয়া সারি,’’ জানালেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy