সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছেলে আদিদেব।
হাতে আর তিন দিন। ১২ নভেম্বর তিনে পা দেবে আদিদেভ চট্টোপাধ্যায়। আগাম তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। উদযাপনের প্রথম ধাপ কি? ছেলের চুল বদল! মঙ্গলবার ছেলেকে নিয়ে সোজা সালোঁতে ‘রান্নাঘর’-এর কর্ত্রী। সেখানেই আমূল ভোলবদল একরত্তির। চুলে স্পাইক করে অগ্নিদেভ চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে যেন ‘দ্য বস’! আরাম করে চেয়ারে বসে চুল বদলের প্রতিটি ধাপ দিব্যি উপভোগ করেছে সে।
ছোট ছেলের জন্মদিন বলে কথা। আয়োজনে আর কী কী থাকবে? আনন্দবাজার অনলাইনকে সুদীপা জানিয়েছেন, ‘‘আদিদেভের জন্য দুটো বড় চমক অপেক্ষা করছে। এ বার ওর দাদা আকাশ রান্নার দায়িত্ব নিয়েছে। ওর নিজের রেস্তরাঁর প্রধান রাঁধুনিকে নিয়ে আসছে। ১৩ জানুয়ারি জি বাংলার রান্নাঘর শো-এ এই প্রথম আমার সঙ্গে থাকবে আদি।’’ রান্নাবান্নার শো-এ এই প্রথম কোনও খুদে অংশ নিতে চলেছে। সুদীপা তার কারণও ব্যখ্যা করেছেন। যুক্তি, এখনকার বাচ্চারা মাছ খেতেই চায় না। ওদের আগ্রহ বাড়াতেই আসবে আদিদেভ। আমার সঙ্গে রাঁধবে ‘ম্যাজিক পমফ্রেট’।
ছেলের সঙ্গে শ্যুট করে মন ভরে গিয়েছে সুদীপার। বললেন, ‘‘মজা করতে করতেই কাজ শেষ। ওকে আবার মজা করে বলেছি, কাজু বাটা কি তোমার গালে মাখিয়ে দেব? ত্বক আরও উজ্জ্বল হবে। সঙ্গে সঙ্গে তীব্র প্রতিবাদ আদির। জানিয়েছে, একে বারেই না! কারণ, কাজু রান্নায় দিতে হয়।’’ শ্যুটের ফাঁকেই নাকি হাতের কাছে চিনি পেয়ে মনের সুখে মুখে পুরে দিয়েছে সে। সেটাও নজর এড়ায়নি সুদীপার। প্রশ্নও করেছেন ছেলেকে ইংরেজি ছড়ার ছন্দে, ‘‘জনি জনি.... ইটিং সুগার?’’ সঙ্গে সঙ্গে ঘাড় নেড়ে আদির উত্তর, ‘‘হ্যাঁ আমি চিনি খাচ্ছি!’’ শুনে আনন্দে বুক ভরেছে মায়ের। দাবি, ‘‘ছেলে কিন্তু মিথ্যে বলেনি!’’
জন্মদিনের দিন পুরো বাড়ি, ছাদ সাজানো হবে বেলুনে। অগ্নি-সুদীপার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা তাঁদের বাচ্চাদের নিয়ে আসবেন। নাচাগানা, খানাপিনা সবই হবে। সঞ্চালিকা জানালেন, সারা দিন কাজের পরে বাড়ি ফিরে ‘ফেরত উপহার’ মোড়কে মুড়ে সাজাতে হচ্ছে। এ দিকে যার জন্মদিন সেই এক রত্তিরও বায়না, তারও ফেরত উপহার চাই! বাবা ছেলেকে কী উপহার দেবেন? সুদীপার কথায়, ‘‘বাচ্চাদের খেলার উপযোগী সুন্দর তাঁবু বানিয়ে দেবে অগ্নি। ওটাই অগ্নির উপহার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy