সুদীপা চক্রবর্তী, আবীর চট্টোপাধ্যায়, লিলি চক্রবর্তী ও খুদে ঈশান।
‘আমার স্বামী কই?’ এক বিজ্ঞাপনের শ্যুটে একটু বিরতি পড়লেই এই প্রশ্নটির উত্তর খুঁজছেন ‘রান্নাঘরের সুদীপা’। কিন্তু কী এমন হল যে স্বামী খুঁজতে হচ্ছে অভিনেত্রী সুদীপা চক্রবর্তীকে! অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ১০ বছরের প্রেমে ছেদ পড়ল নাকি?
এই ধোঁয়াশার জবাব মিলবে উইনডোজ প্রোডাকশন হাউজের নতুন বিজ্ঞাপনে। গুঁড়ো মশলার বিজ্ঞাপনের শ্যুটে গিয়ে হাজির হয়েছিল আনন্দবাজার ডিজিটাল। ছিল ৪টি চরিত্র। দেওর, বৌদি, বৃদ্ধা মা ও বাচ্চা ছেলে। গোয়েন্দা দেওর ও বৌঠানের কেমিস্ট্রিটা খুবই মজার। সকলে খাবার টেবিলে বসে কথাবার্তা বলছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, ঘরে দেওরের ছবি রয়েছে, বৌঠানের ছবি রয়েছে, কিন্তু দাদা অর্থাৎ বৌঠানের স্বামীর কোনও চিহ্নই নেই।
বৌঠান সুদীপা চক্রবর্তী, গোয়েন্দা দেওর আবীর চট্টোপাধ্যায়, মা লিলি চক্রবর্তী ও সুদীপার বিজ্ঞাপনের ছেলের চরিত্রে খুদে ঈশান। অভিনয়ে একে অন্যকে টেক্কা দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: পেটে সংক্রমণ, মুসৌরিতে ছবির সেটে গুরুতর অসুস্থ মিঠুন চক্রবর্তী
কিন্তু যেই ক্যামেরা বিশ্রামে যাচ্ছে, অমনি স্বামী খুঁজতে ব্যস্ত সুদীপা। পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় এবং সহ পরিচালক অরিত্র মুখোপাধ্যায়কে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এ কেমন বৌদি? ঘরে একটাও ছবি নেই কেন স্বামীর? কেবল দেওরের ছবি বসিয়ে রেখেছে? বিজ্ঞাপনের গল্পের এই রহস্যের উত্তরটা কী?’’
তাতে অরিত্রর উত্তর, ‘‘স্বামী রাতে আসবে।’’ শিবপ্রসাদের উত্তর, ‘‘যেমন বৌদিদের আমরা পর্দায় দেখি, ঠিক তেমনই। তুই দুপুর ঠাকুরপোর বৌদি!’’ ব্যস, হাসির রোল গোটা শ্যুটিং সেটে।
কিন্তু না, তাতেও হার মানেননি সুদীপা। ভেবে ভেবে এর উত্তর নিজেই বের করেছেন। তাঁর মতে, স্বামী আসলে রোজগার করতে বাইরে গিয়েছেন। আর তাঁর রোজগারেই এত খাওয়া দাওয়া চলছে। আবীর বললেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি তো শখের গোয়েন্দা। আমার রোজগারে ঘর সংসার চলে না। তাই নিশ্চয়ই দাদাকে কাজে বেরিয়ে পড়তে হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: বছর শেষের আগে কি ফের শ্রাবন্তীকে ফিরে পেতে চাইছেন রোশন?
সুদীপা কিন্তু এখানেই থেমে থাকেননি। তাঁর মাথায় কল্পনার ডালপালা বেড়েই চলেছে। তিনি জানালেন, ‘‘এমনও হতে পারে, আবীরের ডবল রোল। আবীরই দেওর। আবার সেই আমার স্বামী। তারই ছবি রয়েছে সেটে।’’
হেসে উঠল গোটা ইউনিট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy