পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও অঙ্কুশ
লকডাউনে বাড়িতে বসে শর্টফিল্ম, মিউজ়িক ভিডিয়ো তো হচ্ছিলই। এ বার গোটা সিরিজ়ও তৈরি হয়ে গেল। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-এ ‘কেস জন্ডিস’ সিরিজ়ের স্ট্রিমিং শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। প্রধান তিন চরিত্রে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অঙ্কুশ এবং অনির্বাণ চক্রবর্তী। প্রথম দু’জন উকিলের চরিত্রে, অন্য জন বিচারক। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির নিরিখে তৈরি হয়েছে সিরিজ়ের কনটেন্ট, ‘মানুষ বনাম করোনাভাইরাস’। প্রথম সিজ়নে পাঁচটি এপিসোড। পরে আরও পাঁচটি।
ঘরবন্দি অবস্থায় নতুন রকমের কাজ করতে পেরে উচ্ছ্বসিত অঙ্কুশ। বলছিলেন, ‘‘প্রস্তাব পেতেই লাফিয়ে উঠেছিলাম। ওয়েবে এটাই প্রথম কাজ আমার।’’ অঙ্কুশের মোবাইলে তাঁর পর্বটা শুট করে দিয়েছেন বান্ধবী ঐন্দ্রিলা সেন।
কেস জন্ডিসের পরিচালনা করছেন শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। কনসেপ্ট হইচই-এর টিমের। টেকনিক্যাল সমস্যা ছাড়া, পোশাক, প্রপসেরও ব্যাপার ছিল বাড়িতে বসে শুটের ক্ষেত্রে। পরমব্রত যেমন বলছিলেন, ‘‘অন্যরা কী ভাবে করছে, বুঝতে পারছিলাম না। ফুটেজ আদান-প্রদানও সম্ভব নয়। দু’-একটা এপিসোড করার পরে ধাতস্থ হলাম।’’ সিরিজ়ের কনসেপ্ট ইন্টারেস্টিং লেগেছিল পরমব্রতর। ‘‘দুটো পক্ষের বাদানুবাদ, দু’তরফেই ঠিক-ভুল আছে। আগামী দিনে কেউ কারও বাড়ি যেতে ভয় পাবে। প্রেমিক-প্রেমিকারা প্রেম করতে ভয় পাবে... এগুলোকেই অন্য ভঙ্গিতে তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে,’’ বলছিলেন পরমব্রত।
বাড়িতে বসে শুট করা নিয়ে আপত্তি উঠেছে টেকনিশিয়ানদের পক্ষ থেকে। সে বিষয়ে কী বলবেন? ‘‘তাঁদের আপত্তিটা একশো শতাংশ ঠিক। আমিও তাঁদের পক্ষে। এটা আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে করা হচ্ছে। এটা আসল সিনেমা নয়। একটা শিল্পের জন্য জ্ঞান, লোকজন, সামগ্রী লাগে। এই পদ্ধতি চিরস্থায়ী হতে পারে না,’’ মত পরমব্রতের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy