অন্বেষা হাজরা। ছবি: ফেসবুক।
ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলেই শোনা যায়, নায়িকারা নাকি কখনও বন্ধু হতে পারে না। সত্যিই কি তাই? ইদানীং সেই ধারণা বদলাচ্ছে। ইনস্টাগ্রামের দৌলতে এমন অনেক ছবিই দেখা যায় যেখানে দুই সহ-অভিনেত্রী খেতে যাচ্ছেন কোথাও কিংবা বেড়াতে যাচ্ছেন একসঙ্গে। ফলে বদ্ধমূল ভাবনায় এসেছে অনেকটাই পরিবর্তন। সেই প্রমাণ আবারও মিলল অভিনেত্রী অন্বেষা হাজরার জন্মদিনে। ২২ ডিসেম্বর ছিল ‘সন্ধ্যাতারা’র নায়িকা অন্বেষার জন্মদিন। এ দিন দফায় দফায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা এসেছে তাঁর জন্য। তবে এ দিন সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ় তিনি পেলেন বন্ধু মিশমি দাসের থেকে। তাঁদের একসঙ্গে দর্শক দেখেছিলেন ‘আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়’ সিরিয়ালে। পর্দায় অন্বেষার বিপরীতে খলনায়িকা হিসাবে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সিরিয়ালের সেট থেকেই শুরু হয় তাঁদের বন্ধুত্ব।
এখনও যদিও তাঁরা অভিনয় করছেন ভিন্ন সিরিয়ালে। ‘সন্ধ্যাতারা’র শুটিংয়ের জন্য প্রতি দিন রুবির কাছে যেতে হয় অন্বেষাকে। আর ‘তুঁতে’ সিরিয়ালে অভিনয়ের জন্য মিশমি যান তারাতলার দিকে। বলা যেতে দু’জন দু’প্রান্তে। ১৪ ঘণ্টা শুটিংয়ের ফাঁকে ঠিক বন্ধুর জন্য সময় বার করে অন্বেষার সেটে পৌঁছে গেলেন মিশমি। তাঁকে দেখে আবেগপ্রবণ অন্বেষা। বন্ধুকে দেখেই কোলে উঠে পড়লেন তিনি। তেমনই একটি ছবি পোস্টও করেছেন পর্দার সন্ধ্যা।
ছবি পোস্ট করে অন্বেষা লেখেন, “আমার মিশমি এসেছিল। সত্যি, আমি কিন্তু পারিনি, সাত সমুদ্র তেরো নদী পার করে (আমাদের ষ্টুডিয়োর দূরত্ব এমনই) ওকে সারপ্রাইজ় দিতে, অলসের মতন ওর প্রাপ্য জিনিসটা নিজের কাছেই রেখে দিয়েছি। সত্যি কথা ভালবাসায় দূরত্ব কোনও ব্যাপারই নয়। আমি কাঁপছিলাম ওকে দেখে। এমন তো নয় ওর সঙ্গে আমার দেখা হয় না, সবই হয়। কিন্তু “পায়্যার কা ঝাটকা”র জন্য আমি তৈরি ছিলাম না।” আলাদা আলাদা কাজ করলেও বন্ধুত্বটা একই রয়ে গিয়েছে তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy