দেশের জয়ে মাঝরাতে উল্লসিত সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
ক্রিকেট নিয়ে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পাগলামি কারও অজানা নয়। শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকলেও খেলার খুঁটিনাটি খবর মিস করেন না। সম্প্রতি, বাংলা ভাষায় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ধারাভাষ্যও দিয়েছেন। মুম্বইয়ে ঝুলন গোস্বামী, অভিনেতা অনিন্দ্য সেনগুপ্ত এবং সৃজিত— বাংলায় ধারাভাষ্য দিয়ে জমিয়ে দিয়েছিলেন। সেই তিনিই রবিবার রাতে দেশের জন্য পথে নামলেন। হাতে জাতীয় পতাকা। বাঁধভাঙা উল্লাসে বাকিদের সঙ্গে মিলে তাঁর উদ্যাপন ছিল দেখার মতো। তারই ফাঁকে ভক্তদের সঙ্গে নিজস্বী তুলতেও ভোলেননি। রসিকতাও করেছেন দুই দেশের হারজিত নিয়ে। লকডাউনের সময় ভাইরাল সংলাপের নকল করে সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ জিততে এসেছিলাম। বিশ্বকাপ জেতা হয়ে গিয়েছে। চলে যাচ্ছি— রোহিত, বিরাট, জাদেজা। আমরা বিশ্বকাপ জিতব না? জিতব না আমরা বিশ্বকাপ?— দঃ আফ্রিকা’’।
গত রাতে বাকিদের মতো বুঝি উৎকণ্ঠায় ছিলেন সৃজিতও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পথে ভারত যত এগিয়েছে, ততই উত্তেজনা ছড়িয়ে গিয়েছে শহর থেকে রাজ্য হয়ে গোটা দেশে। যেই মাত্র দেশ জিতেছে, আনন্দের চোটে পথে পরিচালক! শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ির দরজা খুলে নাচের ভঙ্গিতে তিনি। দেখে বোঝাই গিয়েছে, এ বার তিনি বাঁধনহারা উল্লাসে মাতবেন। হলও তাই। তিরঙা মাথার উপরে তুলে দোলাতে দোলাতে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি ক্যামেরার পিছনে যেমন আছেন, তেমন রয়েছেন ক্রিকেটেও। মধ্যরাতের কলকাতা ঘুম ভুলে তখন উত্তেজনায় টানটান।
সৃজিতকে তত ক্ষণে ঘিরে ফেলেছেন এই প্রজন্মের একদল তরুণ। তাঁদের মুখে ‘বন্দে মাতরম’ ধ্বনি। প্রত্যেকের গায়ে দলের জার্সি। সারা মুখে আবির। ওই অবস্থাতেই একের পর এক নিজস্বী তোলা চলতে থাকে। এখানেও পরিচালনা থেকে দূরে থাকতে পারেননি সৃজিত। ছবি যাতে ভাল ওঠে, তার জন্য একটা সময়ের পর মুঠোফোনের ক্যামেরা নিজের দখলে নেন। সেই ভিডিয়ো নিজের সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিতেই ভাইরাল।
খেলা সম্পর্কে এর পর পরিচালক একটি পোস্ট করেন। সেখানে বাকি ক্রিকেটপ্রেমীদের সঙ্গে আলোচনা করে ১৯৭১-এর পর থেকে শ্রেষ্ঠত্বের ক্রম অনুযায়ী খেলোয়াড়দের একটি তালিকাও প্রকাশ করেন।
তালিকায় তিনি লিগ ১-এ গাওস্কর, কপিল, সচিন, দ্রাবিড়, ধোনি, বিরাটকে রেখেছেন। দ্বিতীয় লিগে কুম্বলে, সৌরভ, রোহিত, বুমরাহ, অশ্বিনকে। তৃতীয় লিগ বা পর্যায়ে রয়েছেন বেদি, চন্দ্রশেখর, প্রসন্ন, বিশ্বনাথ, অমরনাথ, আজহার, বেঙ্গসরকর, যুবরাজ, লক্ষ্মণ, শেহবাগ, হরভজন, জাহির, রবীন্দ্র জাডেজা। পরিচালক এ-ও জানান, আলোচনা চলতে থাকুন। এই তালিকাও তখন নতুন রূপ নেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy