শ্রীময়ী-কাঞ্চন
কাঞ্চন মল্লিকের জন্মদিনের সকাল থেকে আাবারও শ্রীময়ী চট্টরাজ চর্চায়। কোনও এক বছরের পুজোয় ধুতি-পাঞ্জাবি, শাড়িতে সেজে উঠেছিলেন যুগলে। সেই ছবি জন্মদিনের সকালে পোস্ট করতেই বিয়ের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। রাতে কাঞ্চনের বাড়িতে জন্মদিনের এলাহি উদ্যাপন। তখনও কোমর জড়িয়ে তাঁর পাশে শ্রীময়ী। কোথাও অভিনেতার স্ত্রী পিঙ্কি বা ছেলে ওশো নেই! আরও এক দফা চর্চা তাই নিয়েও। বুধবার প্রকাশ্যে অন্তর্বাসে অভিনেত্রী। কালো ব্রা পরে বাথটবে শুয়ে। স্নানে ভেজা তাঁর শরীর! ছবির সম্পর্কে শ্রীময়ী লিখেছেন, ‘আরও সাহসী হও, নিজের মতো হয়ে ওঠো!’
পুরনো চর্চার রেশ ফুরনোর আগেই তাঁকে ঘিরে নতুন চর্চা। তার মধ্যেই সাহসিকতার কথা বলে খুল্লামখুল্লা ছবি পোস্ট। চর্চায় থাকতেই কি এত কিছু? আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন রেখেছিল শ্রীময়ীর কাছে। তাঁর দাবি, ‘‘না চাইলেও আমায় নিয়ে চর্চা হবে। খবর হবে সংবাদমাধ্যমে। চোখে পড়ে সব। আগে খারাপ লাগত। এখন মানিয়ে নিয়েছি। নিজেকে বোঝাই, অকারণ চর্চায় থেকে বিনোদন জোগাতে পারলে মন্দ কী? এতে যদি কিছু মানুষ খুশি হন তো হবেন! ধরে নিন, এটাই আমার সাহসিকতা!’’
শ্রীময়ী এ দিন আবারও অনর্গল আগের মতোই। তাঁর কথায়, এর আগেও কাঞ্চনের জন্মদিনে তিনি কেক পাঠিয়েছেন। নিজে উপস্থিত থেকেছেন। অভিনেতার পরিবারের সঙ্গে হুল্লোড়ে মেতেছেন। খাওয়া-দাওয়াও করেছেন। তখন হয়তো ছবিতে তাঁকে দেখা যায়নি। এ বছরেও একই কাজ করেছেন। যেহেতু তার আগে কাঞ্চনের সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়েছে তাই এত শোরগোল। অভিনেত্রীর দাবি, ‘‘পিঙ্কিদি বা ওশো কেন আসেননি সেটা কাঞ্চনদা বুঝবেন। আমার তো বোঝার কথা নয়! আমি আমন্ত্রিত ছিলাম। নিমন্ত্রণ রক্ষা করেছি মাত্র।’’ তাঁর যুক্তি, এমন তো কোথাও লেখা নেই যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল বলে কাঞ্চনের সঙ্গে তিনি কোনও সম্পর্ক রাখবেন না! ভাল বন্ধু এখন অনেক কষ্টে মেলে। অভিনেতা তাঁর জীবনে সৎ পরামর্শদাতা, ভাল বন্ধু। এই বন্ধুত্ব তিনি অন্যের কারণে হারাতে রাজি নন। এই সম্পর্কের প্রতি একনিষ্ঠ শ্রীময়ীর বক্তব্য, ‘‘কাঞ্চনদা যদি আগামী দিনে আরও একাধিক সম্পর্কে জড়ায় তবুও আমি ভাল বন্ধু হয়েই থেকে যাব।’’
এ দিকে খবর, শ্রীময়ী নাকি নিজের হাতে অভিনেতার বাড়ি সাজিয়েছিলেন! বিয়ে করলে কাঞ্চনের মতো পরিণত বয়সের পুরুষকেই বাছবেন? এখানেও কোনও রাখঢাক করেননি তিনি। জানিয়েছেন, তাঁর কথার কিছুটা অংশ তুলে নিয়ে সংবাদমাধ্যম খবর করেছে। তিনি ‘দিদি নম্বর ১’-এর শো-তে বলেছিলেন, বিয়ে করলে বয়স্ক পুরুষকেই বাছবেন। কারণ, অনেক সময়েই সমবয়সী পুরুষ সম্পর্কের গভীরতা বোঝেন না। তাঁরা নিজদের নিয়েই ব্যস্ত থাকতে ভালবাসেন। ফলে, এত বিচ্ছেদ। পাশাপাশি, শ্রীময়ী তাঁর মা-বাবা বা দাদু-ঠাকুমাকে দেখেছেন যত্ন নিয়ে সম্পর্ক ধরে রাখতে। এই সোহাগ, আদর, শাসন, যত্ন— সবগুলো পেতে চান। সেখানেও তাঁর কথায় জুড়ে দেওয়া হয়েছে কাঞ্চন মল্লিকের নাম!
তবে এই মুহূর্তে বিয়ের উপর আর ভরসা নেই তাঁর। শ্রীময়ীর দাবি, চারিদিকে যা দেখছেন, যে ভাবে কথার উল্টো মানে বের করে কাদা ছোড়া হচ্ছে, তাতে বিয়ের ইচ্ছেটাই চলে গিয়েছে। এখন তাঁর মতে, ঘটা করে সাতপাক ঘুরে তিন বছর পরে বিয়ে ভাঙার বদলে আজীবন বন্ধু থেকে যাওয়া অনেক সম্মানের। এতে আর যা-ই হোক, লোক হাসানোর পরিমাণ কমবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy