শ্রীলেখা মিত্র।
এক টুকরো পাউরুটি কি প্রেমের দূত হতে পারে? শ্রীলেখা মিত্র বলছেন, হতেই পারে। মেয়ে তখন ছোট। আচমকাই অভিনেত্রী ব্লাইন্ড ডেটে বেরিয়েছিলেন। মাঝ রাত। ফাঁকা রাস্তা দিয়ে গাড়ি ছুটছে। সেই গাড়িতে তিনি আর তাঁর থেকে বয়সে ছোট প্রেমিক! নানা অভিজ্ঞতা পেরিয়ে সেই রাতে শ্রীলেখা বুঝেছিলেন, পাউরুটিতেও প্রেম হতে পারে। যদি সেই পাউরুটিতে প্রেমিক ‘ভালবাসার মেয়োনিজ’ মাখিয়ে নিজের হাতে পরিবেশন করেন।
এক দিন আগেই বয়সে বড় প্রেমিক নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন অভিনেত্রী। দাবি, প্রেমিক-প্রেমিকাকে বয়স দিয়ে বাঁধা যায় না। প্রেমিকা সব সময় বয়সে ছোট হবেন, এমনও কোন কথা নেই। এ বার তিনি দেখালেন, অতি সামান্য বস্তুও কত দামি। কী ভাবে? তাঁর ‘পাউরুটিতে প্রেম’ ছোট ছবি দিয়ে। শ্রীলেখার জীবন বরাবর খোলা খাতা। তারই একটি পাতা তিনি উল্টে দেখিয়েছেন অনুরাগীদের। সেখানে সযত্নে ধরা তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে ব্লাইন্ড ডেট!
শ্রীলেখার কথায়, ‘‘আমি নিজেই বুঝতে পারিনি আমি এতটাও সাহসী’’। ডেটে বেরিয়ে কিঞ্চিৎ নেশাও করেছিলেন তিনি। যদিও নেশার ঘোরেও মনে হচ্ছিল প্রেমিক তাঁর এলোমেলো অবস্থার সুযোগ নেবেন না তো? বদলে কী দেখলেন?
প্রেমিক তাঁকে যত্ন করে ক্যাফেতে এনে চা, স্যান্ডউইচ খাওয়াচ্ছেন। এ দিকে নেশার কারণে স্যান্ডউইচে মেয়োনিজ নিয়ে অভিনেত্রীর দারুণ অস্বস্তি। ততক্ষণাৎ প্রেমিক সেই মেয়োনিজ সরিয়ে ছোট টুকরো তুলে দিয়েছেন অভিনেত্রীর মুখে। শ্রীলেখা আজও সেই রাত ভুলতে পারেননি।
অভিনেত্রীর জীবনের সেই অংশ উঠে এসেছে অমৃতা চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয়ে। শ্রীলেখাও ছবিতে রয়েছেন। তবে সূত্রকারের ভূমিকায়। শ্রীলেখা হয়ে ওঠার অভিজ্ঞতা অমৃতা ভাগ করে নিয়েছেন নেটমাধ্যমে। জানিয়েছেন, ‘এক সকালে শ্রীলেখাদির ফোন। বিকেলে শ্যুটের অনুরোধ। কিছু না বুঝেই রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। দক্ষিণ কলকাতার একটি ক্যাফেতে সবাই হাজির। আমি ছাড়াও ছিলেন মৈনাক গঙ্গোপাধ্যায়। আর শ্রীলেখাদি। ক্যামেরায় গৌতম ভট্টাচার্য’। অভিনেত্রীর কথায়, শ্রীলেখা গল্প পড়ে শোনানোর পরেই শ্যুট শুরু। চোখের নিমেষে চরিত্রের সঙ্গে একাত্ম অমৃতা-মৈনাক। বাকিটা বলবে ছবি। সম্পাদনায় অলোক ধারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy