ভরা শ্রাবণ। মেঘলা আকাশ। কখনও ঝমঝমিয়ে কখনও আবার টিপ টিপ বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে শহর। বৃষ্টির জলে উপছে পড়ছে নদী। সেই নদীর জলে ডুব দিয়ে যদি জলপরিদের রাজ্যে পৌঁছে যাওয়া যায়, তা হলে কেমন হয় বলুন তো? জানেন কি সেই পরির সন্ধান পেয়ে গিয়েছেন তথাগত মুখোপাধ্যায় এক ভটভটির হাত ধরে। ১১ অগস্ট যার দর্শন পাবেন অন্যরা।
তবে সময়ের কিছুটা আগেই সেই পরি আর ভটভটির সঙ্গে দেখা হল আনন্দবাজার অনলাইনের। ফ্যাশন স্টুডিয়ো ‘বহুরূপী’-তে তখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা। টলিপাড়ার নতুন জলপরি বিবৃতি চট্টোপাধ্যায় আর তাঁর ‘ভটভটি’ ঋষভ বসু পোশাকের রঙে মিলে যাচ্ছেন। ঘনিষ্ঠ বন্ধু তাঁরা।
টলিপাড়ায় কেউ জানে, কেউ জানে না। কিন্তু অভিষেকের পোশাকে আনন্দবাজার অনলাইনের ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে এত আড়ষ্ট কেন তাঁরা? বিবৃতির টানা টানা চোখ কি কারওর অপেক্ষায়?সেই প্রশ্নের উত্তর মিলল ঠিক ১৫ মিনিটের মধ্যেই।
আরও পড়ুন:
হন্তদন্ত হয়ে হাজির হলেন তথাগত মুখোপাধ্যায়। ‘ভটভটি’ ছবির পরিচালক। এক কথায় যাকে বলে ‘ক্যাপ্টেন অব দ্য শিপ’। ধারাবাহিকের শ্যুটিংয়ের ফাঁকে হাজির হলেন। আর তিনি আসতেই সব বরফ যেন গলে জল। বিবৃতি ঠিক কী ভাবে তাকাবে ঋষভের দিকে, ঋষভ ঠিক কোন দিকে তাকালে এক অন্য অভিব্যক্তি তৈরি হবে পরিচালক সব বুঝিয়ে দিলেন।
বিবৃতি যে আদতে তথাগতর জীবনে পরি। মুহূর্তগুলো যেন সে কথাই বলছিল। কখনও বারান্দায় একমনে দু’জনের গল্প। কখনও আবার পাশাপাশি একে অপরের দিকে তাকিয়ে না বলা অনেক কথা বলে গেলেন দু’জনে।

‘ভটভটি’ তথাগতর স্বপ্নের ছবি। তার সেটেও যে এই ম্যাজিকটাই কাজ করেছে তা এক মিনিটেই ধরে ফেলা যায়। বিবৃতি আর ঋষভের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে অভিষেক রায়ের কালো পাঞ্জাবিতে সেজে উঠেছিলেন তথাগতও। তিন জনের জীবনেই এই বর্ষায় এখন শুধু ‘ভটভটি’ভরসা।

বিবৃতির কথায়, “আমি এখন ছবিটা নিয়ে ভাবছি।” এই ছবির শ্যুটিং করতে গিয়েই জীবনের এক নতুন কাহিনি শুরু হয়েছে তাঁর। তবে নায়িকার বক্তব্য, “আমি আমার কাজের জন্য শিরোনামে থাকতে চাই, অন্য কোনও কারণে নয়।” অন্য কারণ কী! বিবৃতি আর তথাগতর নতুন প্রেম? বিবৃতি আভাস দেন। সম্পর্ক ভাঙলে তাঁর ‘ভাল’ মুহূর্তের কথা বলেন। আর তথাগত? তাঁর পরিকে নিয়ে জলে পাড়ি দেন।