Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Soumitra Chatterjee

চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন সৌমিত্র, খুলে নেওয়া হয়েছে বাইপ্যাপ সাপোর্ট

আগের মতোই কোভিড চিকিৎসা চলছে সৌমিত্রের। গত কয়েক দিন ধরে যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল, তা অপরিবর্তিত রয়েছে।

এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।

এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২০ ১১:৪০
Share: Save:

চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বাইপ্যাপ সাপোর্ট অর্থাৎ নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছে। কিছুটা হলেও আগের থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বুলেটিন প্রকাশ করে জানালেন বেলভিউ কর্তৃপক্ষ। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সেখানে ভর্তি অশীতিপর এই অভিনেতা। এ দিনই সেখানে তাঁকে দেখতে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ দিন জানান, আগের মতোই কোভিড চিকিৎসা চলছে সৌমিত্রের। গত কয়েক দিন ধরে যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল, তা অপরিবর্তিত রয়েছে। এখনও পর্যন্ত দু’বার প্লাজমা থেরাপি হয়েছে তাঁর। সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক রয়েছে। শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের তারতম্য রয়েছে। তবে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি।

এ দিন ফের এক বার ইকো, ইসিজি এবং রক্তপরীক্ষা হয় প্রবীণ অভিনেতার। নতুন করে এমআরআইও করা হয়। বুধবার নতুন করে করোনা পরীক্ষাও করা হবে। সঙ্কট যদিও কাটেনি, তবে সৌমিত্রের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তিনি চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছেন বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে। নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে। আগের চেয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: অর্ণব গোস্বামীদের বিরুদ্ধে আদালতে শাহরুখ, আমির, সলমন, অজয়রা​

আরও পড়ুন: কাজ থেকে শুরু করে ব্যক্তিজীবন নিয়েও কথা বললেন ইকবাল খান​

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সৌমিত্র তনয়া পৌলমী বসু বলেন,আগের চেয়ে ভাল আছেন বাবা। খানিকটা স্থিতিশীলও। ১ শতাংশ হলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আজ সকালে বাই-প্যাপ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে বাবাকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখার কথা ভাবছেন না চিকিৎসকরা’।

নোভেল করোনায় সংক্রমিত সৌমিত্রকে গত মঙ্গলবার বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। সেই থেকেই চিকিৎসাধীন তিনি। শুক্রবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সোমবার হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছিল, সৌমিত্রের প্রস্টেটের পুরনো কর্কটরোগ ফিরে এসেছে। ছড়িয়ে পড়েছে ফুসফুস এবং মস্তিষ্কে। সংক্রমণ ঘটেছে মূত্রথলিতে। তার পরেই সৌমিত্রকে বাইপ্যাপ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়।

শ্বাসকষ্ট প্রবল না হলে রোগীকে সাধারণত বাইপ্যাপ বা নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। সে ক্ষেত্রে নাকে-মুখে মাস্ক লাগিয়ে বাড়তি চাপে অক্সিজেন-যুক্ত বাতাস পাঠানো হয় রোগীর ফুসফুসে। করোনা রোগীদের অনেকের ক্ষেত্রেই নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন পদ্ধতি কাজ করেছে। সোমবার রাত থেকে সৌমিত্রকে সে ভাবেই রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই পদ্ধতিতে কাজ না হলে সরাসরি তাঁকে ‘ইনভেসিভ ভেন্টিলেটর’-এ রাখার কথা হচ্ছিল। যেখানে রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস পুরোপুরিই যন্ত্রনির্ভর। সকাল থেকে তার প্রয়োজন না পড়লেও দুপুরে সৌমিত্রকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেটরে দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু হয়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE