খড়কুটোয় গুনগুন—নিজস্ব চিত্র
তবে কি ৩৬৫ দিন নয়, আজীবনের জন্য সংসারের বাঁধনে বাঁধা পড়ল সৌজন্য-গুনগুন?
উপলক্ষ বউভাত। ফের মুখোমুখি প্রেমিকা তিন্নি, নতুন বউ গুনগুন। ফের শুরু তরজা। কার পক্ষ নেবে সৌজন্য? ‘খড়কুটো’ ফ্যান পেজ থেকে আগাম শেয়ার হওয়া ক্লিপিংস বলছে, এই প্রথম গুনগুনের হয়ে মুখ খুলছে সৌজন্য।
সঙ্গীত, আইবুড়ো ভাতের পর আর মুখোমুখি হয়নি সৌজন্যের জীবনের দুই নারী। ফলে, গোলও বাধেনি। বিয়ের আসর থেকে বউভাতের সকাল পর্যন্ত একাই রাজপাট সামলিয়েছে গুনগুন। শ্বশুরবাড়ির সবাইকে নিয়ে হুল্লোড়ে মেতেছে। অন্যের কথা শুনে দুষ্টুমি করতে গিয়ে বকুনিও খেয়েছে সৌজন্যের কাছে। সৌজন্যের যুক্তি, ‘‘আমার বউ। আমি তাকে বাজে কথা বলতেই পারি। বলবও। কিন্তু সবাই কেন তার বউকে খারাপ কথা বলবে! কেন সেই সুযোগ সবাইকে করে দেবে গুনগুন?’’
আরও খবর : তৃতীয় লিঙ্গদের পর্দাতে আনলেই নাকি চ্যানেল ঘুরিয়ে দিচ্ছে দর্শক, বন্ধ হল ফিরকি
হাসি-মজা-খুনসুটির মধ্যেই দিন গড়িয়ে বিকেল। রিসেপশনে একে একে হাজির আমন্ত্রিতরা। সৌজন্যের আমন্ত্রণে এসেছে তার অফিস কলিগ অনন্যা, গুনগুনের তিন্নিদিদি। ব্যস, মেজাজ সপ্তমে চড়েছে নতুন বউয়ের। তার উপর সৌজন্যের সঙ্গে তিন্নির সারা ক্ষণ গুজুর-গুজুর জ্বালা ধরিয়েছে তার মনে।
এক অজানা অধিকারবোধ থেকেই কি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেছে গুনগুন?
সম্ভবত সেই কারণেই হাত ধরে সৌজন্যকে সে সরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছে তিন্নির থেকে। সৌজন্য হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করলে জোর গলায় বলেছে, ‘‘এত কথা কিসের তোমাদের মধ্যে?’’ সৌজন্যের হাত শক্ত করে ধরে রেখে তার দাবি, ‘‘তোমায় নিয়ে তবেই এখান থেকে যাব।’’
আরও খবর : ‘সত্য সাঁইবাবা’-র লুকে চমকে দিলেন অনুপ জালোটা
তখনই গুনগুনকে সবার সামনে ‘পাগল’ বলে তার পিসতুতো দিদি। এই অপমান গায়ে লেগেছে সৌজন্যেরও। প্রতিবাদ জানিয়ে তিন্নিকে শাসনও করেছে তাই, ‘‘মাথাটা ঠাণ্ডা কর। তুমিও তো ভুল করেছ। পাবলিকলি তুমি যে কথাগুলো গুনগুনকে বললে, সেগুলো একদম ঠিক হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy