কঙ্গনা রানাউত ও সোনি রাজদান।
সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (এমস)-এর খুনের সম্ভাবনাকে খারিজ করে দেওয়া মেনে নিতে পারেননি কঙ্গনা রানাউত। যথারীতি তিনি ফের সরব। ক্ষোভ উগরে দিয়ে শনিবার তিনি টুইটে লেখেন, ‘‘একদিন সকালে ঘুম ভাঙল, তার পর আচমকা নিজেদের মেরে ফেললেন, তরুণ এবং অসাধারণ প্রতিভাসম্পন্ন মানুষদের ক্ষেত্রে এটা কখনও হতেই পারে না। সুশান্ত বলেছিলেন, তাঁকে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের শিকার হতে হয়েছে। প্রাণের আশঙ্কা ছিল। মুভি মাফিয়ারা তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে। ধর্ষণের ভুয়ো অভিযোগে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন সুশান্ত।’’
এরপরেই কঙ্গনাকে একহাত নিলেন মহেশ ভট্টের স্ত্রী অভিনেত্রী সোনি রাজদান। টুইটবার্তায় তিনি তোপ দেগেছেন কঙ্গনার বিরুদ্ধে। লিখেছেন, “যাঁরা বলছেন, মানুষ অকারণে সকালে ঘুম থেকে আত্মহত্যা করে না, তাঁদের জানিয়ে রাখি, তাঁরা সত্যিই তা করেন না। এটাই হল আসল কথা। এ রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁরা বহু বছর কষ্টে ভোগেন, সংগ্রাম চালান।”
মানসিক অসুস্থতাকে খারাপ চোখে না দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন সোনি। লিখেছেন, “মানসিক অসুস্থতা নিয়ে ভয় বা লজ্জা পাওয়ার মতো কিছু নেই। এই অসুখকে ঠিক করে চিনে চিকিৎসা করলে প্রাণ বেঁচে যেতে পারে।”
আরও পড়ুন: হাথরস স্টেশনে বসে বিবেকানন্দ, এগিয়ে এলেন স্টেশন মাস্টার...
সুশান্তের মৃত্যুর কারণ হিসাবে খুনের সম্ভাবনাকেই বরাবর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন কঙ্গনা। রীতিমতো দাবি করেছেন, অভিনেতার মৃত্যু আত্মহত্যা নয়। তাঁকে খুন করা হয়েছে। এমসের রিপোর্ট আসার পর তিনি বেশ কিছু প্রশ্ন রেখে আরও একটি টুইট করেন। কঙ্গনা লিখেছেন, ‘‘সুশান্ত বার বার বলেছেন, নামী প্রযোজনা সংস্থা তাঁকে ‘ব্যান’ করেছে। কারা ওঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল? কেন গণমাধ্যমে ওঁকে ধর্ষক হিসেবে দাগিয়ে ভুয়ো খবর প্রচার করা হয়েছিল? কেন মহেশ ভট্ট সাইকোঅ্যানালিসিস করছিলেন সুশান্তর?’’
বলিউডের যে তারকাদের নাম কঙ্গনার অভিযোগে বার বার উঠে এসেছে, মহেশ ভট্ট তাঁদের মধ্যে অন্যতম। অভিনেত্রীর মতে, পরিচালক বলিউডের ‘মাফিয়া গ্যাং’-এর সদস্য এবং সুশান্তকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। মহেশের উপর কঙ্গনার একটানা দোষারোপই কি সোনিকে সরব হতে বাধ্য করল?
আরও পড়ুন: ঝরঝরে বাংলায় তনুশ্রী বললেন, কাউকেই ভয় পাই না। কাজ থামবে না
অভিনেতার মৃত্যুর পর থেকে স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে সৃষ্টি হওয়া কোলাহলে কঙ্গনার আওয়াজ সব চেয়ে জোরাল। আলিয়া ভট্টের গায়েও সেই আঁচ এসে পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্ষণের হুমকি পেয়েছেন মহেশ-কন্যা। তাঁর দিকে উড়ে এসেছে কদর্য মিম, ট্রোল। মহেশ এ নিয়ে মুখ না খুললেও, পরিবারের জন্য রুখে দাঁড়ালেন সোনি। প্রসঙ্গত, কঙ্গনার প্রথম ছবি ‘গ্যাংস্টার’-এর প্রযোজক ছিলেন মহেশ ভট্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy