গৌরব চক্রবর্তী।
বড় পর্দায় প্রথম বার একসঙ্গে সোহিনী সরকার, গৌরব চক্রবর্তী এবং সোহম চক্রবর্তী। সৌজন্যে ‘এই আমি রেণু’। সমরেশ মজুমদারের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে তাঁদের।
১৯৮০-র দশকের কলকাতার প্রেক্ষাপটে আবর্তিত হবে ছবির গল্প। মূলত ত্রিকোণ প্রেমের গল্পকে পর্দায় তুলে ধরবেন পরিচালক সৌমেন সুর। অতীত এবং বর্তমানের টানাপড়েনে ক্ষত-বিক্ষত রেণু। তার বিয়ে হয় উচ্চপদস্থ এক সরকারি কর্মীর সঙ্গে। তবে বিয়ের পর রেণুর জীবনে ফিরে আসে তার প্রাক্তন প্রেমিক। সম্পর্কের দোলাচলের মধ্যে দিয়েই এগোবে ‘এই আমি রেণু’-র গল্প।
রেণু-র চরিত্রে দেখা যাবে সোহিনী সরকারকে। রেণুর প্রাক্তন প্রেমিকের ভূমিকায় গৌরব এবং স্বামীর ভূমিকায় সোহম। এ ছাড়াও অলিভিয়া সরকারকে দেখা যাবে রেণুর কলেজের বন্ধু ঝুমার চরিত্রে। ‘ব্রেক আপ স্টোরিজ’ ওয়েব সিরিজের পর সোহিনীর সঙ্গে আবার কাজ করলেন তিনি। ছবিতে অলিভিয়ার বিপরীতে অভিনয় করবেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।
প্রেমের এই গল্পে অভিনয় করতে গিয়ে খানিক নস্টালজিক সোহিনী। অভিনেত্রীর মনে পড়ে যাচ্ছে ছোটবেলার কথা। যখন নেটমাধ্যমের রমরমা ছিল না। ছিল না ইনস্টাগ্রাম বা হ্যাশট্যাগের দাপাদাপি। সোহিনীর কথায়, “আমরা যখন বড় হচ্ছি, ‘এই আমি রেণু’ সেই সময়ের গল্প। সেই সময়ের সম্পর্কগুলো এখনকার মতো ছিল না। কথায় কথায় ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে স্টেটাস দেওয়া যেত না। চিঠি লিখে মনের কথা জানাতে হতো। আমাদের ছবিতেও চিঠির একটা ভূমিকা রয়েছে।”
একই সুর গৌরবের কথাতেও। গৌরব জানিয়েছেন, অভিনয় করতে গিয়ে ফেলে আসা দিনগুলোর আমেজ ফিরে পেয়েছেন । স্ত্রী ঋদ্ধিমা ঘোষের সঙ্গে তাঁর প্রেমের কিস্সা রূপকথার চেয়ে কম নয়। তবে ছবিতে সোহিনীর প্রাক্তনের ভূমিকায় তিনি। কী ভাবে নিজেকে এই চরিত্রের জন্য প্রস্তুত করলেন? গৌরবের কথায়, “সব সম্পর্কেই কিছু টানাপড়েন থাকে। বাইরে থেকে হয়তো সেটা বোঝা যায় না। ব্যক্তিগত জীবনের কিছু অভিজ্ঞতাকেই এই চরিত্র করতে কাজে লাগিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy