Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Sohini guha Roy

মহালয়ার সকালে মহামায়ার ভূমিকায় ‘ময়ূরপঙ্খী’র সোহিনী

তাঁর কথায়: “আমি দেবীর মহামায়া রূপ করেছি। নিজের লুক আমারইখুব সুন্দর লেগেছে। আপনারা প্রোগ্রামটা দেখলে বুঝতে পারবেন। একেবারে অন্য রকম একটা লুক। পুরো প্রোগ্রামটাও অন্য একটা অনুভূতি দেবে।”

মহামায়া রূপে সোহিনী।

মহামায়া রূপে সোহিনী।

শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:৫৬
Share: Save:

দেবী দুর্গার নানা রূপের আবাহন। প্রস্তুতি তুঙ্গে। অপেক্ষায় আছেন দর্শকও।স্টার জলসাও তৈরি, মহালয়া স্পেশাল প্রোগ্রাম ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ নিয়ে। সেখানে দেখা যাবে ‘ময়ূরপঙ্খী’ ধারাবাহিকের নায়িকা সোহিনী গুহরায়কে। ‘মহিষাসুরমর্দিনী’-তে কী ভূমিকা নিলেন সোহিনী?

তাঁর কথায়: “আমি দেবীর মহামায়া রূপ করেছি। নিজের লুক আমারইখুব সুন্দর লেগেছে। আপনারা প্রোগ্রামটা দেখলে বুঝতে পারবেন। একেবারে অন্য রকম একটা লুক। পুরো প্রোগ্রামটাও অন্য একটা অনুভূতি দেবে।”অভিনয় ছাড়া আর কী করতে হল? সোহিনী শেয়ার করলেন,“আমার একটা নাচের সিকোয়েন্স আছে। আমি যেহেতু নাচ জানি,নাচতে একটুও সমস্যা হয়নি। এখানে নেচে আমার ভীষণই ভাল লেগেছে। শুটিংয়ের মাঝখানে একেবারে গ্যাপ নেই। একদিকে শুটিং চলছে আর একদিকে আমরা ডান্স রিহার্সাল করছি। মানে মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যে নাচ তুলে সেদিনই শুটিং করেছি।”

কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় এই প্রোগ্রাম পরিচালনা করেছেন। তাঁর সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগল? সোহিনী এক্সাইটেড, “কমলদা ভীষণ ভাল। মানে এইটা আমার আর একটা বলার বিষয়। ‘বাবা, বাবা’ বলে এতসুন্দর করে উনি আমাদের ট্রিট করছিলেন, আমাদের সব্বাইকে। ‘মা এটা কর, মা ওটা কর’, এভাবে উনি কথা বলছিলেন। সব সমস্যা ভুলে, অত বড় পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার দ্বিধা ভুলে আমরা সুন্দরভাবে কাজ করতে পেরেছি।’’

‘ময়ূরপঙ্খী’র শুটিং ২০ সেপ্টেম্বর শেষ হল। এখন কী করছেন? সোহিনী বললেন, “এই তো মহালয়া প্রোগ্রাম করলাম। আরওঅনেক কাজের কথা চলছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু এখনই কিছু বলতে পারব না।”ফ্লোর মিস করছেন? তিনি বিষণ্ণ: “ভীষণভাবে। মাত্র ক’দিন আমাদের শুট শেষ হয়েছে। এই ক’দিন রোজ মনে হচ্ছে কল টাইম পাচ্ছি না কেন? ঘুম থেকে উঠেই মনে হচ্ছে শুটিংয়ে যাওয়ার আছে। ইউনিটের সবার সঙ্গে রোজ দেখা হওয়া, মেকআপ রুমের আড্ডা, একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া সব মিস করছি। একটা দারুণ ইউনিট ছিল আমাদের। আর একটা ক্যারেক্টারের মধ্যে ঢুকে এত মাস ধরে সেটা বজায় রাখা ভেরি ডিফিকাল্ট। আমরা সেটা করতে পেরেছি। দর্শক পছন্দও করেছেন লীনাদির গল্প।”

সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় এই ধারাবাহিকে নায়কের ঠাম্মার ভূমিকায় ছিলেন। মিস করছেন তাঁকে? “খুবই। উনি এরকম একটা প্রফেশনাল জায়গাতেও নিজে বাড়ি থেকে রান্না করে নিয়ে আসতেন। শুধু আমাকে নয়, ইউনিটের প্রায় সবাইকে ধরে ধরে খাওয়াতেন।এত বড় অ্যাক্টর, কিন্তু আমাদের সঙ্গে মিশতেন সহজভাবে।”

এখন মহালয়ার ভোরের অপেক্ষা, দর্শকের সঙ্গে সোহিনীরও।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy