উইল স্মিথ কাণ্ড নিয়ে বিধায়ক-অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর প্রথম প্রতিক্রিয়া।
‘‘আমারও স্ত্রী-সন্তান আছে। অনেক সময় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হালকা করে তাঁদের নিয়েও রসিকতা করেন সঞ্চালক। আমি তো রেগে যাই না! বুঝি, পুরোটাই হয় মজার ছলে’’— আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে ‘অস্কার কাণ্ড’ নিয়ে এটাই বিধায়ক-অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর প্রথম প্রতিক্রিয়া। তিনিও জেনেছেন, রসিকতার মাসুল কী ভাবে গুনতে হয়েছে কৌতুকশিল্পী-সঞ্চালক ক্রিস রককে। উইল স্মিথের অভিনেত্রী স্ত্রী জাডা পিঙ্কেটকে নিয়ে মস্করা করে আন্তর্জাতিক পুরস্কার মঞ্চে তাঁর প্রাপ্তি সপাট চড়!
জাডা ‘অ্যালোপেশিয়া’য় ভুগছেন। তাই মাথার চুল কম। অনেকটাই ‘জি আই জেন’-এ নায়িকার চরিত্রের মতো। রক বলে ফেলেছেন, ‘জি আই জেন ২’-এর নায়িকার ভূমিকায় জাডাকে দেখার বাসনা তাঁর। শুনেই বিরক্তি প্রকাশ অভিনেত্রীর। মাথায় আগুন জ্বলেছে স্মিথেরও। সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে উঠে সঞ্চালককে ‘উচিত শিক্ষা’ দিয়েও নিজেকে সামলাতে পারেননি। নিজের আসনে ফিরেও সমানে গালিগালাজ করেছেন।
এখানেই আপত্তি সোহমের। তাঁর দাবি, দোষী দু’পক্ষই। সঞ্চালকের উচিত হয়নি এ ভাবে রসিকতা করা। বিশেষত যখন কোনও মহিলা যখন বিরল রোগে আক্রান্ত। তাঁর বুঝে নেওয়া উচিত ছিল, অস্কার মঞ্চে কী বলা যায় বা কতটা বলা যায়। ক্রিস রক সে সব না বুঝেই ঠাট্টা করে ফেলেছেন। পাশাপাশি এটাও ঠিক, স্মিথ অতটা প্রতিক্রিয়া না দেখাতেই পারতেন। ওঁরও বোঝা উচিত ছিল, অস্কারের মঞ্চে এ ভাবে মেজাজ হারিয়ে চড় মারা যায় না। তিনি পরে সঞ্চালককে ডেকে বলতেই পারতেন। পুরো ঘটনা বিশ্ব দেখল। এতে আয়োজকদেরই মাথা হেঁট হল!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy