সোহম চক্রবর্তী।
বহু সহশিল্পী চলে যাচ্ছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলে। ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থা থেকে রাজনীতি— ‘কলকাতার হ্যারি’র সেটে আনন্দবাজার ডিজিটালের মুখোমুখি সোহম চক্রবর্তী।
প্রশ্ন: রাজ্য রাজনীতিতে উত্তাল। আপনার বহু সহশিল্পী বিজেপির নিশানায়। তাঁদের নানা ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে...।
সোহম: বিজেপি বহিরাগত দল। এসেই উত্তেজনা সৃষ্টি করে দিয়েছে। ওদের কোনও এজেন্ডা নেই। কিন্তু সারা ক্ষণ প্রচারে থাকতে হবে। তাই শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করাটাই তাদের হাতিয়ার। আর তারা তো এসেছেই মানুষে মানুষে বিবাদ তৈরি করতে। ধর্ম নিয়ে বিভেদ, ঝগড়া বাঁধিয়ে দেওয়া। তাদের তো এ ভাবেই চালিয়ে যেতে হবে। সেই কারণেই বিভিন্ন মানুষকে আক্রমণ করছে ওরা।
প্রশ্ন: ইন্ডাস্ট্রির ভিতরে এগিয়ে কারা?
উত্তর: অবশ্যই তৃণমূল। ভাললাগা, ভালবাসার সঙ্গে দখল করার মানসিকতার পার্থক্য আছে। আজও কোনও শিশুর শরীর খারাপ শুনলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওষুধ নিয়ে তার বাড়ি চলে যেতে পারেন। কিন্তু বিজেপির এই আন্তরিকতা কোথায়! মিথ্যা প্রচার আর প্রতিশ্রুতির উপর নির্ভর করে রাজনীতি করে ওই দলটি। আজ পর্যন্ত একটি প্রতিশ্রুতিও মেটাতে পারেনি ওরা।
প্রশ্ন: টলিউডের অনেকেই তো দল বদলে ফেলছেন। তার প্রভাব পড়বে রাজ্যের রাজনীতিতে?
উত্তর: যাঁরা বিরোধী পক্ষে চলে যাচ্ছেন, তাঁরা যেতেই পারেন। সেটা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে কে কোথায় যাচ্ছেন, তাতে কিছু আসে যায় না। কারণ রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে রয়েছেন।
প্রশ্ন: আর এই দলবদলে টলিউড কতটা বদলে যাবে? ফাটল ধরছে ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে?
উত্তর: তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর গোটা টলিউডের মধ্যে একটা ঐক্যবদ্ধতা তৈরি হয়েছিল। তাতে কিছুটা ফাটল তো ধরেছে। বিরোধী পক্ষের উদ্দেশ্যটাই তো তেমন। যাঁরা দুর্বল, নিজেদের প্রতি সে ভাবে বিশ্বাস নেই, কোথাও হয়তো এমন কিছু করেছেন, যার ফলে ভয়ে আছেন— তাঁরাই এখন নিজেদের পিঠ বাঁচাতে বিজেপিতে গিয়ে ঢুকছেন। বিজেপিও এত দিন যাঁদের ‘চোর’ বলত, তাঁরাই এখন সেই দলে ঢুকে গায়ের কালি মুছে ফেলছেন। বিজেপি যেন ডিটারজেন্ট পাউডার। কিন্তু তারপরেও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত বেশির ভাগ মানুষই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে আছেন।
প্রশ্ন: কেন এমন মনে হয়?
উত্তর: কারণ, তাঁরা তাঁদের প্রাপ্য সম্মানটা মুখ্যমন্ত্রীর থেকে পেয়েছেন। বাংলায় এমন বহু প্রবীণ শিল্পী রয়েছেন, যাঁরা দেশের চলচ্চিত্রের সম্পদ। তাঁরা যে ভাবে তৃণমূল সরকারের আমলে সম্মানিত হয়েছেন, তা আগে কখনও হয়নি। চলচ্চিত্র উৎসবের মতো একটা অনুষ্ঠানও সাধারণ মানুষের কাছে প্রকৃত ‘উৎসব’ হয়ে উঠেছে বর্তমান সরকারের হাত ধরেই। শুধু তো তা নয়, সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যের নিরাপত্তাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মানুষ এ সব মনে রাখবে।
প্রশ্ন: রাজনীতির ময়দানে আরও সক্রিয় হবেন কি?
উত্তর: সক্রিয় রাজনীতির মধ্যেই আছি। ইতিমধ্যেই জেলায় কাজ করেছি। এখন শ্যুটিংয়ের জন্য কয়েক দিন ছুটি নিয়েছি ওই কাজ থেকে। দ্রুত ফিরছি রাজনীতিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy