তিনি তৃপ্ত, তিনি খুশি। একই সঙ্গে গর্বিতও। নচিকেতা চক্রবর্তী আনন্দবাজার ডট কমকে বললেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিহাস তৈরি করলেন। সেই ইতিহাসের সাক্ষী হলাম। কী যে গর্ব হচ্ছে! আমার নাতি হয়তো এই মন্দির দেখতে যাবে। আমি বুক ঠুকে বলব, জানিস! এই ঐতিহাসিক উদ্বোধনের সাক্ষী ছিলাম।” এ দিনের অনুষ্ঠানে গায়কের পছন্দ রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘এ কি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ’।

মন্দিরে দেবমূর্তি। ছবি: সংগৃহীত।
মঙ্গলবার থেকে মহড়া। বুধবার দুপুরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। কলকাতার আকাশ তখন মেঘের চাদরে ঢাকা। দিঘার আকাশে গনগনে সূর্য। আমন্ত্রিতদের রোদের হাত থেকে বাঁচাতে মাথাপিছু সাদা-নীল ডুরের গামছা উপহার মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, “আমরা ঘামও মুছেছি। গরম লাগলে গামছা ঘুরিয়ে বাতাস করেছি।” তার পর মন্দিরের চাতালে বসে আমি, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আড্ডা দিলাম।

ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নৃত্য প্রতিষ্ঠান দীক্ষামঞ্জরীর শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত।
পুরীর মন্দিরের বয়স আনুমানিক ৫০০ বছরেরও বেশি। তাকে কি ছাপিয়ে যেতে পারবে দিঘার মন্দির?

এ রকম বিরোধের মধ্যে যেতেই রাজি নন গায়ক। সাফ বললেন, “দিদি তাঁর মতো করে মন্দির তৈরি করেছেন। কাঠের দরজায় সূক্ষ্ম কাজ। বেলেপাথরের মন্দির। ভিতরে উঁচু গম্বুজ। কালো পাথরের বেদিতে তিন দেবমূর্তি। সব কিছুই ভীষণ ছিমছাম। চোখ জুড়িয়ে যাবে।” একটি মন্দির থাকতে আরও একটি মন্দির তৈরি হল কেন? গায়ক ফাঁস করলেন আসল ঘটনা, “দিঘার জগন্নাথদেবের মন্দির দিয়ে দিদির যাত্রা শুরু। আগামীতে আরও অনেক পরিকল্পনা আছে তাঁর।” এর পর কচুয়ায় লোকনাথবাবার স্মরণে একটি মন্দির তৈরি হবে, জানিয়েছেন নচিকেতা।