কবীর সুমন। —ফাইল চিত্র।
অসুস্থ সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমন। বুকে সংক্রমণ নিয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ‘গানওলা’। অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা শিল্পীকে। সূত্রের খবর, সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ সঙ্গীতশিল্পীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লকে ভর্তি করানো হয় তাঁকে।
হাসপাতালের একটি সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন অসুস্থ ছিলেন সুমন। সোমবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। বুকে সংক্রমণের সঙ্গে হৃদ্যন্ত্রেও সমস্যা রয়েছে শিল্পীর। তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। মেডিসিন এবং হৃদ্রোগ (কার্ডিয়োলজি) বিভাগের চিকিৎসকেরা শিল্পীর চিকিৎসা করছেন।
শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর, আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন গায়ক, গীতিকার এবং সুরকার। যে শারীরিক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল, তার চেয়ে কিঞ্চিৎ উন্নতি হয়েছে স্বাস্থ্যের। ইতিমধ্যে চিকিৎসকদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তাঁরা শিল্পীর চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন। বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়েছে। সেগুলোর রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন চিকিৎসকেরা। সুমনের শারীরিক পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে চিকিৎসকদের দলে আরও কোনও বিশেষজ্ঞকে যুক্ত করা যায় কি না, সেটাও দেখা হচ্ছে। হাসপাতালের একটি সূত্রে খবর, ভেন্টিলেশনে রাখার প্রয়োজন হতে পারে শিল্পীকে। তাই আগেভাগে সেই বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আপাতত সুমনকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। নিজের ফেসবুক ওয়ালে সুমন লেখেন, ‘‘শ্বাসকষ্ট নিয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছি। শীঘ্রই সেরে উঠব। চিন্তা করবেন না।’’
পঁচাত্তরের ‘তরুণ’ কবীর সুমন এখনও সঙ্গীতের নদীতে বহমান সুর-স্রোতের মতো। বর্তমানে বাংলা খেয়াল নিয়ে কাজ করছেন তিনি। সঙ্গীতশিল্পী সুমন একটা সময় প্রত্যক্ষ রাজনীতিতেও এসেছিলেন। তৃণমূলের হয়ে যাদবপুর থেকে লোকসভার সাংসদ হন তিনি। যদিও পরবর্তী কালে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব কিছুটা বেড়েছিল। পরে তা মিটেও যায়। পরে আর কোনও নির্বাচনে প্রার্থী হননি তিনি। এখন নিজেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সমর্থক’ বলে থাকেন সুমন। এর আগে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তৃণমূলের সুরে বার বার সরব হন সুমন। বয়সজনিত কারণে ইদানীং মাঝেমধ্যেই তাঁর শারীরিক সমস্যা দেখা যাচ্ছিল বলে জানাচ্ছেন শিল্পীর কয়েক জন ঘনিষ্ঠ। এ বার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হল শিল্পীকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy