সৃজিত-শিলাজিৎ তরজায় আরও নয়া মাত্রা?
সৃজিত-শিলাজিৎ তরজায় যোগ হল আর এক মাত্রা। যদিও মাস পেরিয়েছে, সময় এগিয়েছে, শিলাজিতের রাগ, বিরক্তিও এখন অভিমানে পরিণত হয়েছে। আর সেই অভিমানের অনেকটা জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশের সুস্বাদু খাবার দিয়ে পেটপুজো সারতে না পারা। আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভে এসে অকপট গীতিকার, গায়ক, সঙ্গীতায়োজক, অভিনেতা শিলাজিৎ মজুমদার।
গত জুন মাসের মাঝামাঝি। মহা সমারোহে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘এক্স ইক্যুয়ালস টু প্রেম’-এর পোস্টার মুক্তি পায়। তার পরেই নামবিভ্রাটে জড়ান পরিচালক। ২১ বছর আগে ফিরে গেলে দেখা যাবে, এই একই নামে শিলাজিতের একটি গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছিল। সৃজিতের এই ছবির কথা জানতে পেরেই শিলাজিৎ তাঁর ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন। সরাসরি কারও নাম না নিয়ে তিনি জানান, অনেক পরিশ্রম করে পাশ করানো সেই নাম এখনও লোকে ‘খাচ্ছে’।
আনন্দবাজার অনলাইনকে শিলাজিৎ বলেন, ‘‘আমি খুশি। বিখ্যাত মানুষরা আমার দেওয়া নাম ব্যবহার করছেন। তার মানে আমার মতো ছোট গীতিকার এখনও তাঁদের মাথার মধ্যে বাস করে।’’ অন্য দিকে, সৃজিত জানান, ‘এক্স ইক্যুয়ালস টু প্রেম’ ছবির নাম তিনি ইমপা (ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন)-র মাধ্যমে পাশ করিয়েছেন। সেখান থেকে কোনও বাধা আসেনি। অনুমতি পাওয়ার পরেই তিনি এই ছবির নামকরণ করেন। সৃজিতের মতে, এটা তো একটি শব্দবন্ধ। যে কেউ ব্যবহার করতে পারে। বাংলা শব্দের উপর কারও স্বত্ব নেই। কিন্তু শিলাজিতের রাগ নিয়ে তাঁর মন খারাপও হয়। তিনি বলেন, ‘‘২০০৭ সাল থেকে চিনি আমি তাঁকে। আমি ভেবেছিলাম তিনি খুশি হবেন তাঁর দেওয়া নাম ব্যবহার করা হয়েছে শুনে। কিন্তু আমার ফোন না ধরলে আমি কেমন করে জানাব তাঁকে?’’ ফোন ধরে যদি শিলাজিৎ তাঁকে গালিগালাজ করতেন, তা হলে বরং খুশি হতেন পরিচালক। এমনই জানিয়েছিলেন তিনি।
শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভে ফের সে প্রসঙ্গে উঠলে শিলাজিৎ জানান, বিরক্তি কমে এসেছে। কিন্তু তাঁর অভিমান ভাঙানোর জন্য তাঁর মনের মতো কাজটি এখনও করেননি সৃজিত। অন্যান্য অনেক ভাবেই মান ভাঙানোর চেষ্টা করেছেন পরিচালক। কখনও শিলাজিতের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয়েছেন, কখনও তাঁকে খাওয়ানোর কথা বলেছেন। এমনকি শিলাজিৎ যখন নিজের পেজ থেকে লাইভ করছিলেন, সৃজিত নাকি আচমকা ক্যামেরার সামনে চলে গিয়েছিলেন। শিলাজিতের বক্তব্য, ‘‘সৃজিতের ফোন ধরছি না বলে আমার খারাপ লাগছিল। কিন্তু কী করব? আমার দাবিটা বোঝানোর দরকার ছিল ওকে। সংবাদমাধ্যমের সামনে ঘোষণা করার আগে আমাকে এক বার বলার উচিত ছিল সৃজিতের। এর থেকে বেশি আমার কোনও দাবি নেই।’’
কিন্তু যে দিন স্থির হয়েছিল, সৃজিত তাঁকে নিজের বাড়িতে ডেকে খাওয়াবেন, সে দিন শিলাজিৎ সেখানে থাকতে পারেননি। শুধু তা-ই নয়, শিলাজিতের কথায় জানা গেল, শিলাজিতের নামে যে ভোজনের আয়োজন করা হয়েছিল, সে দিন অন্যরাও খাওয়া দাওয়া করেছেন। শিলাজিৎ বললেন, ‘‘তাই পুরোপুরি মিটমাট হয়নি এখনও। সৃজিতের বাড়িতে যে দিন নিমন্ত্রণ করেছিল, সে দিন মিথিলা অনেক রান্না করে করে রেখেছিল। আমার কল্যাণে ওখানে অনেকে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে শ্রীজাতও ছিল। তারা খেয়েছে। আমাকে যদি আলাদা করে না খাওয়ায়, তা হলে মীমাংসা হওয়ার কোনও অবকাশ নেই।’’ শিলাজিতের দাবি, মিথিলার হাতের রান্না খাওয়াতে হবে। তা ছাড়া কেবলমাত্র তাঁকেই খাওয়াতে হবে। আর কাউকে না। তা হলেই সব মিটমাট হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy