(বাঁ দিকে) সদ্যোজাতকে কোলে নিয়ে সিধু মুসে ওয়ালার বাবা। সিধু মুসে ওয়ালা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
গত ১৭ মার্চ এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন প্রয়াত পঞ্জাবি র্যাপ তারকা সিধু মুসে ওয়ালার মা চরণ কৌর। ২০২২ সালে সিধু গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার পর থেকে ফের সন্তানধারণার কথা ভাবেন তিনি। শেষে মুসে ওয়ালার মৃত্যুর বছর দুয়েক পরে তাঁদের পরিবারে এল পুত্রসন্তান। সদ্যোজাতকে নিয়ে সমাজমাধ্যমে ছবি দেন সিধুর বাবা বলকৌর সিংহ। তিনি জানান, ছোট মুসে ওয়ালাই এসেছে তাঁদের সংসারে। কিন্তু এত আলো, এত আনন্দের মাঝেই কিনা হেনস্থার শিকার মুসে ওয়ালার পরিবার! প্রয়াত গায়কের বাবা এমনই দাবি করেছেন। তাঁদের সদ্যোজাত সন্তানের জন্ম আদৌ আইনসম্মত কি না, সেই প্রশ্ন তুলছে পঞ্জাব সরকার। বছর ৫৮-র চরণ কী ভাবে আইভিএফের সাহায্যে মা হলেন, তা নিয়ে পঞ্জাব সরকারের কাছে জবাবদিহি চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সিধুর মায়ের বয়স ৫৮, বাবার বয়স ৬০ ছুঁই ছুঁই। গায়কের মৃত্যুর পরেই ফের সন্তান নেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেন তাঁরা। আইভিএফের সাহায্যেই অন্তঃসত্ত্বা হন সিধুর মা। তবে কি বয়সের কারণেই আইনগত ঝামেলায় জড়াল মুসে ওয়ালার পরিবার? কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাক্টিভ টেকনোলজি অ্যাক্ট অনুযায়ী, এই পরিষেবা বিবাহিত দম্পতি ও একাকী (সিঙ্গল) মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সে ক্ষেত্রে যে নারী এই পরিষেবা গ্রহণ করবেন, তাঁর বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ও পুরুষের বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৫৫ বছর। সে দিক থেকে মুসে ওয়ালার বাবা-মা, দু’জনেই সেই বয়সের সীমা অতিক্রম করেছেন। ভাতিন্ডার একটি আইভিএফ ক্লিনিকে জন্ম হয়েছে মুসে ওয়ালার ভাইয়ের। কেন্দ্রীয় সরকারের এই নিয়মকে লঙ্ঘন করে ৫৮ বছর বয়সে কী ভাবে সন্তানধারণ করলেন প্রয়াত গায়কের মা, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে মুসেওয়ালার বাবা বলকৌর বলেন, ‘‘ঈশ্বরের কৃপায় আমাদের পরিবারে শুভদীপ ফিরে এসেছে। কিন্তু সকাল থেকেই পঞ্জাব সরকার ক্রমাগত হেনস্থা করে যাচ্ছে। তারা প্রশ্ন তুলেছে আমার সন্তানের আইনসিদ্ধতা নিয়ে। আমি সরকারকে, বিশেষত ভগবন্ত সিংহ মানকে অনুরোধ করব, সমস্ত চিকিৎসা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তার পর যেখানে ডাকবেন, সেখানে চলে আসব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy