শ্বেতা ত্রিপাঠী।
তিনি ইন্ডাস্ট্রির ‘মিষ্টি মেয়ে’। নেটফ্লিক্সে ‘কার্গো’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকে ফোন আসা থামছেই না শ্বেতা ত্রিপাঠীর। ‘‘নেটফ্লিক্সের মতো প্ল্যাটফর্ম বলেই ভরসা ছিল, সীমিত রিসোর্সে শুট করা হলেও এমন অন্য ধরনের ছবি দর্শকের কাছে পৌঁছবে। ‘মসান’-এর সময়ে অনেকে আমাকে বলেছিলেন, ছবিটার ব্যাপারে জানতেই পারেননি তাঁরা,’’ বললেন শ্বেতা।
‘কার্গো’র ঠিক আগেই ‘দ্য গন গেম’ এবং ‘রাত অকেলি হ্যায়’-এর জন্যও প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। বাড়ি থেকে ‘দ্য গন গেম’ শুট করতে গিয়ে অনেক কিছু শিখেছেন। পুরো শুটটাই করে দিয়েছেন তাঁর স্বামী চৈতন্য শর্মা, ওরফে র্যাপার স্লো চিতা। ‘‘ও ডিওপি-র কাজটা সামলেছে। আর আমি আর্ট ডিরেকশন, কস্টিউম ইত্যাদি। আমরা একসঙ্গে ছোটখাটো কাজ করেছি আগে। এ বার ওর সঙ্গে একটা পুরোদস্তুর লাভস্টোরি করতে চাই।’’ সেই লাভস্টোরি কেমন হবে, উদাহরণ দিতে গিয়ে ‘মসান’-এর লাল বেলুন উড়িয়ে দেওয়ার দৃশ্যের কথা বললেন শ্বেতা, ছবির শালু গুপ্ত। সেই চরিত্রে নজরে পড়ার পর থেকেই হাসিখুশি, শান্তশিষ্ট মেয়ের চরিত্রের প্রস্তাব পেতেন পরপর। তবে শ্বেতা বলিষ্ঠ নারীচরিত্র করতে চান, বাস্তবে তিনি যে রকম। ‘‘উচ্চাকাঙ্ক্ষী মেয়ে মানেই একটা ছকে ফেলে দেওয়া হয়। সেই ধারণা ভাঙতে চাই। যেমন ‘রাত অকেলি হ্যায়’-তে নিজের চেনা ইমেজ ভেঙেছি। ‘মির্জ়াপুর’-এর গোলু গুপ্তা আমার করা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে কঠিন চরিত্র। সবচেয়ে স্যাটিসফায়িংও।’’
সিরিজ়ের দ্বিতীয় সিজ়ন আসছে শিগগিরই। প্রথম সিজ়নে তাঁর আত্মরতির দৃশ্যকে ঘিরে বিতর্ক নিয়ে শ্বেতার বক্তব্য, ‘‘কন্ট্রোভার্সি বা ট্রোলিংকে কখনওই খুব একটা পাত্তা দিই না। কারণ, ওটা গ্রাস করে ফেললে আর কাজে ফোকাস থাকবে না।’’ আর ইন্ডাস্ট্রি ঘিরে যে নিত্যদিনের বিতর্ক? ‘‘নেপোটিজ়ম কিংবা ড্রাগসের সমস্যা শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি কেন, সর্বত্র রয়েছে। সকলের জার্নি আলাদা, চয়েসও আলাদা। জোর করে কারও পক্ষ নিতে পারব না। তথাকথিত ‘আউটসাইডার’ হয়েও আমার নিজের অভিজ্ঞতা কিন্তু খুব ভাল। অনেক ভালবাসা আর সাপোর্ট পেয়েছি। তার মানে এই নয়, আর কারও সঙ্গে অবিচার হয়নি। কাউকে সমর্থন করতে গেলে পুরো ঘটনা জেনে তবেই করা উচিত। তবে পক্ষ না নেওয়াটাও কিন্তু একটা চয়েস।’’
আরও পড়ুন: অনুরাগের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের পায়েলের
আগামী মাসেই ওয়েবের নতুন প্রজেক্টের শুট শুরু করছেন শ্বেতা। বিয়ের পরে জীবন অনেকটাই পাল্টেছে তাঁর। ‘‘কাজ দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে! আগে এত কাজ করতাম না। লকডাউনে একসঙ্গে থাকার অভ্যেস হয়ে গিয়েছিল। এখন শুটে বেরোলেই পরস্পরকে মিস করছি!’’
আরও পড়ুন: নৈঃশব্দ্য যখন কথা বলে...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy