শ্রুতি হাসন। ছবি: সংগৃহীত।
বহু ভাষার দেশ ভারতবর্ষ। এ দেশের এক এক প্রদেশে এক এক ভাষার মানুষ বাস করেন। কিন্তু বহু বছর ধরেই, বিশেষত বাঙালি এবং দক্ষিণ ভারতীয় নাগরিকেরা হিন্দি আগ্রাসনের অভিযোগ করে আসছেন। সারা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে উত্তাপ, বহুবার। এ বার সেই বিতর্কে ঘৃতাহুতি দিলেন শ্রুতি হাসন। রুখে দাঁড়ালেন বৈষম্যের বিরুদ্ধে।
নেটাগরিকদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে শ্রুতি জানিয়েছেন, এই ধরনের জাতি বিদ্বেষ বন্ধ হোক। নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এক নেটাগরিকের উদ্দেশে এ কথা লিখলেও বুঝতে বাকি থাকে না, এই রাগের পিছনে অনেকখানি দায় রয়েছে শাহরুখ খানের।
সাধারণত শ্রুতি তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে মাঝে মধ্যেই এমন পোস্ট করেন যেখানে লেখা থাকে, “আমাকে যে কোনও প্রশ্ন করুন, উত্তর দেব।“ এ বারও তেমনই এক পোস্টে কোনও নেটাগরিক তাঁকে অনুরোধ করে বসেন, “দক্ষিণ ভারতীয় উচ্চারণে কিছু বলুন।” এর উত্তরেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন শ্রুতি। তিনি লেখেন, “এই ধরনের জাতিবিদ্বেষ মোটেও ভাল নয়। আপনারা যখন আমাদের দিকে তাকিয়ে ইডলি, ধোসা, সম্বর ইত্যাদি সম্বোধন করেন, মোটেও শুনতে মিষ্টি লাগে না। আর হ্যাঁ, আমাদের নকল করতে পারবেন না, ফলে সে চেষ্টা করে নিজেকে হাস্যাস্পদ করবেন না।” এর পর তিনি তামিল ভাষায় কিছু লিখেছেন। তর্জমা করলে তার অর্থ দাঁড়ায় “চুপ করো আর এখান থেকে যাও।”
আপাত ভাবে শ্রুতি ভক্তদের উদ্দেশে এ সব কথা লিখেছেন বলে মনে হতে পারে, কিন্তু এর পিছনে রয়েছে আরও একটি ঘটনা। জামনগরে অনন্ত অম্বানী এবং রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানে গিয়ে দক্ষিণী তারকা রামচরণকে ‘ইডলি বড়া’ বলে সম্বোধন করেন শাহরুখ খান। সেই সময় রামচরণ কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও তাঁর রূপটান শিল্পী জ়েবা হাসন আসর ছেড়ে বেরিয়ে যান। ঘটনা নিয়ে চাপা উত্তেজনা রয়েছে দক্ষিণী তারকাদের মধ্যে। অনেকেই মনে করছেন শ্রুতি সেই রাগই উগরে দিয়েছেন সমাজমাধ্যমে।
বর্তমানে মুম্বইয়ের বাসিন্দা হলেও কমল হাসন ও সারিকার সন্তান শ্রুতির জন্ম তামিলনাড়ুতে, সেখানেই বড় হয়েছেন তিনি। মাতৃভাষা নিয়ে ব্যঙ্গ ও কটূক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন তারকা, এ জন্য বহু নেটাগরিকই তাঁকে সমর্থন করেছেন।
এর আগে ‘কিলার স্যুপ’ মুক্তির আগে কোনও এক সঞ্চালিকা কঙ্কনা সেনশর্মা এবং মনোজ বাজপেয়ীর সঙ্গেও এই ধরনের মজা করেছিলেন। মনোজ যথেষ্ট ভারী গলায় তাঁর মাতৃভাষা ভোজপুরীতে কথা বলে শুনিয়েছিলেন। কিন্তু কঙ্কনা তাঁর মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার সময় নিজেই হেসে গড়িয়ে পড়েন। যোগ দেন ভাষা-বিদ্রূপে। তা নিয়ে সমাজমাধ্যমে যথেষ্ট কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল কঙ্কনাকে। মাতৃভাষার সম্মান রক্ষায় শ্রুতিকে অনেকখানি এগিয়ে রাখছেন নেটাগরিকদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy