ঋত্বিক ও শ্রেয়া
তাঁদের প্রথম বার দেখা হয়েছিল একটি প্রজেক্টে একসঙ্গে কাজ করার সূত্রে, যে প্রজেক্ট শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। দ্বিতীয় বার দেখা হল আনন্দ তিওয়ারির মিউজ়িক্যাল সিরিজ় ‘বন্দিশ ব্যান্ডিটস’-এর অডিশনে। পরিচালক একসঙ্গে একটি গানের দৃশ্যে অভিনয় করতে বললেন তাঁদের। ঋত্বিক ভৌমিক আর শ্রেয়া চৌধুরী তার পর থেকেই একে অন্যের ভীষণ ভাল বন্ধু হয়ে গিয়েছেন। অ্যামাজ়ন প্রাইমে আসন্ন সিরিজ়ে দেখা যাবে এই নতুন জুটিকে। এর আগে ‘ডিয়ার মায়া’ ছবিতে কাজ করে নজরে এসেছিলেন শ্রেয়া। ডিজিটালে এটিই তাঁর প্রথম কাজ। ঋত্বিকেরও ডিজিটাল ডেবিউ এটি। আর প্রথম ওয়েব শো-তেই সহ-অভিনেতা হিসেবে তাঁরা পেয়েছেন নাসিরুদ্দিন শাহ, অতুল কুলকার্নি, শিবা চড্ডা, রাজেশ তৈলাঙ্গের মতো অভিনেতাদের। গল্পের রাধে অর্থাৎ ঋত্বিক শাস্ত্রীয় ঘরানার সঙ্গীতের ছাত্র। সেই রাঠৌর ঘরানার প্রাণপুরুষ তারই ঠাকুরদা রাধেমোহন রাঠৌর, ওরফে নাসিরুদ্দিন শাহ। ‘‘নাসির স্যরের থেকে যে টুকু শিখতে পেরেছি শুটিং চলাকালীন, তা আমার সারা জীবনের সঞ্চয় হয়ে থাকবে,’’ বললেন ঋত্বিক। শ্রেয়া জানালেন, শটের ফাঁকে সময় পেলেই তিনি আর ঋত্বিক বসে পড়তেন নাসিরুদ্দিনকে ঘিরে, চলত আড্ডা। দু’জনের কারও সঙ্গীতে তালিম ছিল না। ওয়র্কশপ করে, ভিডিয়ো দেখে, ভোকাল ট্রেনিং নিয়ে ঋত্বিককে শিখতে হয়েছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের খুঁটিনাটি। আবার গল্পের তমন্না, অর্থাৎ শ্রেয়াকে তালিম নিতে হয়েছে রক মিউজ়িকের। সিরিজ়ে সঙ্গীতের দায়িত্বে রয়েছেন শঙ্কর-এহসান-লয়।
রাজস্থানের প্রেক্ষাপটে বোনা এই ছবির আউটডোরের এক মজার ঘটনা শেয়ার করলেন শ্রেয়া আর ঋত্বিক। ‘‘বিকানেরে শুটিং চলছিল। মেঘমল্লার রাগের উপর একটি গানের দৃশ্যের। খটখটে শুকনো গরমকালে শুরু হয়ে গেল বৃষ্টি, টানা তিন দিন চলল! তানসেন মল্লার রাগ ধরলেই বৃষ্টি নামার গল্পটা মনে করিয়ে দিয়েছিল ঘটনাটা। বৃষ্টির চোটে আমাদের শুটিং প্রায় ভেস্তে যেতে বসলেও স্থানীয়রা বেশ খুশি হয়েছিলেন। ‘আপলোগ আয়ে তো বারিশ আয়ি...’ বার বার বলছিলেন ওঁরা,’’ বললেন ঋত্বিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy