উভয়ের মুখেই সৌজন্যের হাসি। সেখানে কোনও কৃত্রিমতা নেই। পাঁচ বছরের আইনি টানাপড়েনে এ ভাবেই দাঁড়ি টানলেন জাভেদ আখতার-কঙ্গনা রানাউত। আর তার পরেই বিস্ফোরক বর্ষীয়ান গীতিকার। সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নায়িকা তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন। তাঁর কাছ ক্ষমা চেয়েছিলেন। আইনি ঝঞ্ঝাট এড়াতে মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলেন। এর পর সমঝোতায় রাজি হন জাভেদ।
শনিবার দুই খ্যাতনামী এক ফ্রেমে হাসিমুখের ছবি দিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। যুযুধান দুই পক্ষ আচমকা দ্বন্দ্বে দাঁড়ি টানায় অবাক সমাজমাধ্যম। কঙ্গনা জানান, জাভেদজি যথেষ্ট আন্তরিক। উভয়ে আলোচনা করে স্থির করেন, বিষয়টি তাঁরা মিটিয়ে নেবেন। রসিকতা করে এ-ও বলেন, “আমার আগামী ছবির গান জাভেদজি লিখবেন, এই কথাও দিয়েছেন তিনি।”
২০১৬ সালের মার্চ মাসের ঘটনা। সেই সময় একটি ভিডিয়ো বার্তায় কঙ্গনা হৃতিক রোশনকে নিয়ে কিছু আপত্তিকর কথা বলেছিলেন। জাভেদ রোশন পরিবারের অভিন্নহৃদয় বন্ধু। তিনি তাই কঙ্গনাকে হৃতিকের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন। অভিনেত্রী রাজি হননি। যার ফলে, কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন। পাল্টা অভিযোগ জানিয়ে আদালতে পাল্টা মামলা ঠোকেন ‘কুইন’ অভিনেত্রী। পাঁচ বছর ধরে সেই মামলা চলতেই থাকে। কেউ যে মাথা নোয়াতেই চাইছিলেন না!
মামলা মিটে যাওয়ায় খুশি জাভেদ? সমাজমাধ্যমে ঘোষণার পর প্রশ্ন রেখেছিল সংবাদমাধ্যম। রসিকতায় তিনিও যে কম যান না, প্রমাণিত তাঁর কথায়। জাভেদ বলেছেন, “চিন্তা নেই। আবারও কিছু না কিছু সমস্যা ঠিক খুঁজে নেব।”