অমিতাভ-শত্রুঘ্নের বন্ধুত্বে ফাটল কেন? ছবি: সংগৃহীত।
অমিতাভ বচ্চন ও শত্রুঘ্ন সিন্হা, সত্তরের দশকের প্রথম সারির দুই অভিনেতা। একসময় ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যায়। তবে, এই ভাঙনের পিছনে কোনও তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি নেই। নির্দিষ্ট সমস্যাও নেই। ফিল্মি কেরিয়ারে তাঁদের অবস্থানই বন্ধুবিচ্ছেদের কারণ।
এই প্রসঙ্গে শত্রুঘ্ন একবার বলেছিলেন, “বয়সের নিরিখে অমিতাভ আমার থেকে বড়। কিন্তু অভিনয় জীবনে আমার থেকে ছোট। আমি যখন বলিউডে প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করলাম, বলা ভাল অভিনেতা হিসাবে যখন আমার লড়াই শেষের দিকে, তখন অমিতাভ ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন এবং ওঁর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লড়াই শুরু হয়।” একে অপরের প্রিয় বন্ধু হলেও বন্ধুত্ব তলানিতে ঠেকেছে পেশাগত কারণে। আকছার শোনা যায়, একই সময় দু’জন তারকা হলে সেই বন্ধুত্ব টেকে না। যেন এ কথাই প্রমাণ করে দিয়েছিলেন দুই অভিনেতা।
শত্রুঘ্ন জানান, ‘কালা পাত্থর’ ও ‘দোস্তানা’ এই দু’টি ছবিতে তাঁকে রাখতে চাননি অমিতাভ। এই প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, “অমিতাভ চাননি আমি ছবি দুটোতে কাজ করি। ওঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধেই আমাকে ‘কালা পাত্থর’ ছবিতে নেওয়া হয়। খুব দুর্ভাগ্যজনক যে, একজন ভাল বন্ধু এমন করতে পারেন!” ছবির শুটিংয়ে প্রয়োজন ছাড়া তাঁরা কথাও বলেননি একে অপরের সঙ্গে। তবে ছবিমুক্তির পরে শত্রুঘ্ন দর্শকের প্রশংসা পেয়েছিলেন, এমনই জানিয়েছেন অভিনেতা।
শত্রুঘ্নের কথায়, “আমার মনে হয়, সেই সময় ‘কালা পাত্থর’ আমাদের বন্ধুত্বের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছিল। তার পর থেকে অমিতাভ সিদ্ধান্ত নেন, আমার সঙ্গে আর ছবি করবেন না। প্রযোজকেরা ভেবেছিলেন, অমিতাভ-শত্রুঘ্ন মারকাটারি জুটি তৈরি করেছে। কিন্তু পরবর্তী কালে যে সব ছবির চুক্তি হয়েছিল, সেই পারিশ্রমিক ফেরত দিতে বলা হয় আমাকে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy