পরীর সাহসী ছবি যথারীতি চর্চিত, নিন্দিতও। দুই বাংলার অনুরাগীরা ছবি থেকে চোখ সরাতেও পারছেন না। আবার নানা বিশেষণেও বিশেষিত করছেন! এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের বিতর্কিত নায়িকার খুল্লমখুল্লা প্রশংসা করলেন সেই দেশেরই আর এক বিশিষ্ট নারী, শাশ্বতী বিপ্লব।
‘বেবি বাম্প’ প্রকাশ্যে এনেছেন সাহসী পরীমণি।
বলিউডে আকছার নায়িকারা অন্তঃসত্ত্বা চেহারায় ছবি প্রকাশ্যে আনেন। হলিউডে এটি কোনও উল্লেখযোগ্য বিষয়ই নয়। ইদানীং টলিউডের নায়িকারাও ধীরে ধীরে মা হওয়াকে উদযাপন করতে শুরু করেছেন। বাকি ছিল ঢালিউড বা বাংলাদেশ। সেখানে ব্যতিক্রম হয়ে উঠলেন পরীমণি। সম্প্রতি স্বামী শরিফুল রাজকে সঙ্গে নিয়ে বেবি বাম্পের ছবি ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী।
পরীর সেই ছবি যথারীতি চর্চিত, নিন্দিতও। দুই বাংলার অনুরাগীরা ছবি থেকে চোখ সরাতেও পারছেন না। আবার নানা বিশেষণেও বিশেষিত করছেন! এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের বিতর্কিত নায়িকার খুল্লমখুল্লা প্রশংসা করলেন সেই দেশেরই আর এক বিশিষ্ট নারী, শাশ্বতী বিপ্লব। ব্রাক বাংলাদেশ শাখার প্রোগ্রাম প্রধান শাশ্বতী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ক্রমশ হিজাব আর বোরখায় ঢাকা পড়ে যাওয়া এই মানচিত্রে পরীমণির এই দুঃসাহসকে আমি ভালবাসি।’
পরীমণির আচরণ ভাল লেগেছে শাশ্বতীর। কারণ, নায়িকার মধ্যে কোনও লুকোছাপা নেই। তিনি পরীর সঙ্গে তুলনা টেনেছেন আরও এক বাংলাদেশের নায়িকা অপু বিশ্বাসের। যিনি লুকিয়ে বিয়ে, সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরে স্বীকৃতি না পেয়ে দরবার করেছিলেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। শাশ্বতী লিখেছেন, ‘কয়েক বছর আগে মা হয়েছিলেন অপু বিশ্বাস, গোপনে। অপু গোপনে বিয়েও করেছিলেন। ৯ বছর গোপনে শাকিব খান তাঁকে ভোগ করেছেন। নায়িকা গর্ভধারণ করেছেন গোপনে। এবং সন্তানের জন্মও দিয়েছেন গোপনে। তার পর, সন্তান আর নিজের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য সন্তান কোলে সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে কান্নাকাটি করেছেন। তাতে কিন্তু জাতির মান-সম্মানের কোনও ক্ষতি হয়নি! মায়েরাও লজ্জা পাননি।’
শাশ্বতীর ধিক্কার, সেই একই কাজ পরী করেছেন সবাইকে জানিয়ে। তাতে দেশের সবার লজ্জায় মাথা হেঁট! এমন হওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন নিজেই। আসলে এর আগে বাংলাদেশের কোনও নায়িকা এমন সাহস দেখাননি। শাশ্বতীর মতে, এখানে দেখার বিষয় পরীমণির স্ফীত গর্ভ নয়। তাঁর সৎসাহস এবং অকপট আচরণ। তাতেই নায়িকার গুণমুগ্ধ হয়ে পড়েছেন তিনি।
ব্রাকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের দাবি, অন্তঃসত্ত্বাকে তাঁর স্ফীত গর্ভ দেখাতে হবে এমন দিব্যিও কেউ দেয়নি। আবার ঢেকে রাখার নিদানও সমাজের দেওয়া। সুতরাং, বিষয়টি নারীর ব্যক্তিগত। যাঁর দৃষ্টিকটু লাগবে, তিনি চোখ ঢেকে রাখুন!
শাশ্বতীর এই পোস্ট নিজের পাতায় ভাগ করে নিয়েছেন পরীমণি। সেই পোস্টে শাশ্বতী অবশ্য সমাজকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। ব্যঙ্গের সুরে লিখেছেন, ‘পরীমণিকে ভাল বলি বলে এমনিতেই আমায় কেউ দেখতে পারে না। তার পরেও সাহস করে আবার পরীমণির পক্ষে লিখে ফেললাম। এ বার উপরওয়ালা ভরসা!’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy