(বাঁ দিকে) ‘অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস’ ছবির একটি দৃশ্য। শর্মিলা ঠাকুর এবং মনসুর আলি খান পটৌডি। ছবি: সংগৃহীত।
বহু বছর আগে আগল ভেঙেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। বলিউডের মূল ধারার নায়িকাদের মধ্যে তিনিই প্রথম। বিকিনি শুট করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন দেশজুড়ে। আজও সেই ঘটনাবলীর ধারাবাহিকতা মনে রয়েছে তাঁর। কারণ, মানুষই তাঁকে ভুলতে দেননি। বার বার নানা সমালোচনা, নিন্দা, ধিক্কার, চোখ রাঙানির মুখোমুখি হয়েছেন। ষাটের দশকে দাঁড়িয়ে ‘টু পিস’। কিন্তু শর্মিলাকে এই পোশাকে দেখে কী বলেছিলেন তাঁর স্বামী মনসুর আলি খান পটৌডি।
পটৌডির সঙ্গে বিয়ের কিছু দিন আগেই এই ফোটোশুটটি করেছিলেন তিনি। ‘ফিল্মফেয়ার’-এর তথ্য অনুযায়ী এই ফোটোশুটের বিষয়বস্তুটি শর্মিলারই মস্তিষ্কপ্রসূত ছিল। তাঁর মনে আত্মবিশ্বাস ভরপুর ছিল। ছিল না চিত্রগ্রাহকের।‘টু-পিস’ বিকিনির ছবি দেখানোর পর চিত্রগ্রাহক ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। বার বার শর্মিলাকে প্রশ্ন করছিলেন, ‘‘আপনি নিশ্চিত তো যে এই ছবিগুলো তুলতে চান?’’ শুধু তাই না, কোনও কোনও শটের সময়ে তাঁকে চাদর দিয়ে নিজেকে ঢেকে দেওয়ার প্রস্তাবও দিচ্ছিলেন। তবে শোনেনি শর্মিলা। বরাবরই চলতি হাওয়ার বিপরীতে গিয়েছেন তিনি। শর্মিলাকে শুনতে হয়, তিনি আসলে পুরুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এই শুটটি করেছিলেন। কেউ কেউ বলেছিলেন, ‘ছবিগুলো খুব অস্বস্তিকর ও ভয়ানক’। লোকে তাঁকে পাঁচ কথা শোনালেও স্বামী মনসুরের কাছে তেমন কোনও ব্যবহার পাননি। যে সময় শর্মিলাকে নিয়ে দেশে নিন্দের ঝড় সেই সময় লন্ডনে ছিলেন মনসুর। এসব বিতর্ক নিয়ে একেবারেই ভাবিত ছিলেন না তিনি। বরং শর্মিলা জানান, তাঁকে সেই সময় সাহস দিয়েছে ও ঠান্ডা মাথায় তাঁর পাশে থেকেছেন ওই মুহূর্তে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy