ধারাবাহিক মোহরের একটি দৃশ্য।
কী কাণ্ড! একজন হাসি চেপে সমানে ‘অভিনয়’ করে চলেছে। আর একজনের দু’চোখ ভাসছে জলে। প্রথম জন শঙ্খ, দ্বিতীয় জন মোহর। শঙ্খের বিয়ে হচ্ছে। মোহরের সঙ্গেই, সামাজিক ভাবে। কিন্তু তাকে সম্পূর্ণ লুকিয়ে। এদিকে কিছু না জেনে বিরহী মোহর কেঁদেকেটে আকুল। তাঁদের আসন্ন মিলন উপভোগ করছেন দর্শকেরাও।
সবচেয়ে ক্যাচি প্রোমোর হেডলাইন। বড় বড় করে ট্যাগলাইন দেখাচ্ছে, ‘বউ যখন নিমন্ত্রিত’!
ট্যাগলাইনে কুপোকাত রেটিং চার্টও। টানা তিনবার প্রথম হওয়া ধারাবাহিক ‘রাণী রাসমণি’কে টপকে ফের ফার্স্ট স্টার জলসার ‘মোহর’।
এই চ্যানেলের দুটো বিয়ে নিয়ে আপাতত সত্যিই পাড়াপড়শির ঘুম নেই। এক ‘মোহর’, দুই ‘খড়কুটো’। দ্বিতীয়টিতে সৌজন্য-গুনগুনের হলদি, সঙ্গীত হয়ে গিয়েছে। এ বার মালাবদলের পালা। ‘মোহর’-এর আকর্ষণ তার থেকেও বেশি। আপাতত সেই ‘আঠা’ই ড্রয়িংরুমে আটকে রেখেছে আঠেরো থেকে আটষট্টিকে। কারণ, একে গোপন বিয়ে সামাজিক সিলমোহর পেতে চলেছে। দুই, ‘হিয়ান’ জুটিকে হারিয়ে দর্শকেরা সত্যিই চোখে হারাচ্ছেন ‘মোহদীপ’ জুটিকে!
আরও পড়ুন: ব্লু ডেনিম, সাদা শার্টে ‘হ্যান্ডসাম হাঙ্ক’ ইউভান!
ট্যাগলাইন ছাড়া আর কী দেখাচ্ছে প্রোমো? শঙ্খের আশীর্বাদ। জোর করে সেই অনুষ্ঠানে আনা হয়েছে মোহরকে। তাকেও শঙ্খের সঙ্গে বসিয়ে আশীর্বাদ করা হবে। কিন্তু সে কিছুই জানে না। ফলে, শঙ্খের পাশে বসতে নারাজ। তখনই শঙ্খের বাবা বলে ওঠেন, ‘‘আমার ছেলের বিয়েতে আমরা সবাইকেই গিফট দিচ্ছি।‘’ তার পরেই উপহার নিতে নারাজ মোহরকে জোর করে পিঁড়িতে বসিয়ে আশীর্বাদ করেন শঙ্খের মা। কিছু না বুঝেই কান্নায় ভিজেছে সে। শঙ্খ চেয়েও মোছাতে পারেনি মোহরের চোখের জল।
শুধু এই দৃশ্য নয়, ধারাবাহিকের আরও কিছু ক্লিপিংস, ছবি রীতিমতো ভাইরাল ফ্যান পেজ, সামাজিক পাতায়। কী দেখা গিয়েছে সেখানে? কোথাও শঙ্খ জোর করে খাইয়ে দিচ্ছে তার অভিমানী ভাবী স্ত্রীকে। কখনও ‘প্রিয়তম ছাত্রী’কে ঠিকমতো সাজিয়ে আনার হুকুমও দিচ্ছে অন্য ছাত্রীকে! কখনও আবার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের দেখাশোনার অনুরোধ করছে বাবাকে।
আরও পড়ুন: ‘আ স্যুটেবল বয়’-এ চুম্বনের দৃশ্যে আপত্তি, নেটফ্লিক্সের বিরুদ্ধে এফআইআর বিজেপি নেতার
সব মিলিয়ে শীতের শুরুতেই জমে ক্ষীর পর্দার বিয়ে।
এই দৃশ্য দেখতে দেখতে নিজেদের ফেলে আসা স্মৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে পড়ছেন ছোট পর্দার দর্শকেরাও। চ্যানেলের সোশ্যাল পেজে নেটাগরিকদের মন্তব্যে সেই আবেশ স্পষ্ট, ‘তুমি এলে, অনেক দিনের পরে যেন বৃষ্টি এল’। ঠিক তেমনি অনেকটা দুঃখের পথ পেরিয়ে মোহর-শঙ্খের দরজায় সুখ আজ কড়া নাড়ছে। যদিও দুষ্টু নারায়ণ এখনও লক্ষ্মীকে কষ্ট দিচ্ছে। তবুও এই কষ্টের মাঝে লুকিয়ে আছে মহামিলনের বার্তা। ধন্যবাদ লীনাদি ও শৈবালদা এই প্রোমোর জন্য। এমন সুন্দর মুহুর্তের সাক্ষী হতে পেরে আনন্দিত। ‘মোহদীপ’ শুধু জলসা পরিবারের নয়, আমাদের সকলের ঘরের সদস্য’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy