শক্তি তাঁর অভিনয় প্রতিভার তুলনায় অনেক বেশি খবরে থেকেছেন ব্যক্তিগত আচরণ এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের হাড়-হিম করা খলনায়ক তিনি। শ্রদ্ধা কপূরের বাবা শক্তি কপূর। শক্তির অভিনয় প্রতিভা নিয়েও কোনও দিন প্রশ্ন ছিল না সমালোচক মহলে। তবে শক্তি তাঁর অভিনয় প্রতিভার তুলনায় অনেক বেশি খবরে থেকেছেন ব্যক্তিগত আচরণ এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে। ‘মিটু’ অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছিলেন এক সময়ে। তবে একটা লম্বা ফিল্মি কেরিয়ারে চড়াই-উতরাই সবটাই দেখেছেন তিনি। অভিনয় জীবনের শুরুতে তিনি ছিলেন দুর্ধর্ষ ভিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শক্তির কৌতুক ক্ষমতা সামনে এল দর্শকের। দুই চরিত্রেই তিনি সফল। তার উদাহরণও রয়েছে ভূরি ভূরি। এক বার পর্দার এই খলনায়ককে সেটে তিন থাপ্পড় খেতে হয়েছিল। তার পর বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন অভিনেতা।
সম্প্রতি ‘দ্য কপিল শর্মা’ শো-তে আসেন শক্তি কপূর-সহ সেই সময়কার আর দুই বিখ্যাত কৌতুক অভিনেতা। ছিলেন আসরানি, টিকু তালসানিয়া। সেখানেই শক্তি জানান পর্দায় ভয় দেখিয়ে নামডাক ভালই হয়েছে। এমন সময় ‘সত্তে পে সত্তা’ ছবির প্রস্তাব পান। সেই প্রথম কোনও কৌতুক চরিত্রে অভিনয়। বহু তারকা অভিনীত এই ছবিতে শক্তির অভিনয় প্রশংসিত হয় সেই সময়।
তার পরই একটি ছবির প্রস্তাব পান শক্তি। ছবির নাম ‘মাওয়ালি’। প্রথম শট দেওয়ার পর থাপ্পড় মারেন কাদের খান। দ্বিতীয় বার থাপ্পড় খেলেন অভিনেত্রী অরুণা ইরানির কাছ থেকে। তৃতীয় বারও ফের চড় খেলেন। এই ঘটনা পর শক্তি ভেবেছিলেন, বলিউড ছেড়ে দেবেন। আর কাজ করবেন না। সেট থেকেই বাড়ি ফিরে যাবেন ভেবেছিলেন।
কিন্তু সেই সময় শক্তির পাশে দাঁড়ান অজয় দেবগনের বাবা বীরু দেবগন। ‘মাওয়ালি’ ছবির ফাইটমাস্টার ছিলেন তিনি। তিনি বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ফের শুটিং-এ পাঠান তাঁকে। শক্তি বলেন, ‘‘বীরুজি ডেকে বলেন, চরিত্রের প্রয়োজনে চড় খেতে হলে খাবে, তাতে লজ্জার কি আছে? ছবিটি পরে বিরাট হিট হয় ও আমার অভিনয়ও প্রশংসিত হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy