মিঠুনের গায়ের রং শ্যামবর্ণ। তা নিয়ে বেশ সঙ্কুচিত হয়ে থাকতেন অভিনেতা। —ফাইল চিত্র
মুম্বই শহরে গিয়ে অভিনেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য লড়াই করতে হয়েছিল অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে। ১৯৮২-র ‘ডিস্কো ডান্সার’ তাঁর পায়ের তলার মাটি শক্ত করে।
শুরুর দিনগুলোর লড়াইয়ের সময় মিঠুনকে কী ভাবে সাহায্য করেছিলেন অভিনেত্রী শাবানা আজ়মির মা শৌকত কাইফি, সম্প্রতি সে কথা জানালেন শাবানা। অভিনেত্রী জানান, মুম্বইয়ে প্রতিষ্ঠাকামী অভিনেতাদের প্রায়ই সাহায্য করতেন তাঁর মা-বাবা।
মিঠুনের গায়ের রং শ্যামবর্ণ। তা নিয়ে বেশ সঙ্কুচিত হয়ে থাকতেন অভিনেতা। তাঁর দাঁতগুলোও তথাকথিত সুন্দর ছিল না। হাসলে তাঁকে খারাপ দেখাত, এ কথা অনেকেই বলেছেন। তাই মিঠুন যখন হাসতেন, মুখ বন্ধ করে রাখতেন।নিজের চেহারা নিয়ে তাঁর মনে যে হীনম্মন্যতা তৈরি হয়েছিল, তা কাটাতে অভিনেতাকে সাহায্য করেছিলেন শৌকত।
শাবানার মা-বাবা থাকতেন ‘জানকী কুটির’-এ।শাবানা বলেন, “জানকী কুটিরে সব ধরনের মানুষ আসতেন, যাঁরা মুম্বই শহরে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য লড়তেন। আমার মা-বাবা সব সময় তাঁদের উৎসাহ দিতেন। আমার কলেজের ( পুণে ফিল্ম ইনস্টিটিউট) অনেক বন্ধুর বম্বেতে থাকার জায়গা ছিল না। তারা এসে আমাদের সঙ্গেই থাকত। জারিনা ওয়াহাব বা কনওয়ালজিৎ সিংহের মতো কেউ না কেউ বাড়িতে অতিথি হয়ে থাকতই।”
অভিনেত্রীর কথায়, “মিঠুন ওর বেরিয়ে-আসা দাঁতগুলো নিয়ে খুব সচেতন থাকত। মুখ বন্ধ করে হাসত। গায়ের রং কালো ছিল বলে তা নিয়েও সঙ্কোচ ছিল ওর। কিন্তু আমার বাবা-মা, বিশেষ করে মা ওকে এত উৎসাহ দিয়েছিল যে, ওর সঙ্কোচ, দ্বিধা কেটে গিয়েছিল। হীনম্মন্যতা দূর হয়েছিল। এটা খুবই সাধুবাদ দেওয়ার মতো বিষয় ছিল।”
কিছু দিন আগে মিঠুন নিজেও জানিয়েছিলেন, মুম্বই শহরে তাঁর কঠিন দিনগুলোর কথা।
তিনি বলেছিলেন, “আমি যে কষ্টের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, চাই না আর কেউ সেই যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাক। সকলকেই সংগ্রাম করতে হয়, কিন্তু গায়ের রঙের জন্য বছরের পর বছর আমাকে প্রত্যাখ্যান সইতে হয়েছে। খালি পেটে শুয়ে থাকতে হয়েছে, ঘুমোনোর জন্য কেঁদেছি। সেই কারণেই চাই না, আমার বায়োপিক হোক। এটা কাউকে অনুপ্রাণিত করবে না, বরং মানসিক ভাবে সকলকে আহত করবে, তাঁদের স্বপ্নপূরণের ইচ্ছেটাকে নষ্ট করে দেবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy