Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Shabana azmi

সংবিধান নিজের হাতে তুলে নেওয়া অন্যায়! ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ বিতর্কে মুখ খুললেন শাবানা

বিতর্কের আঁচে পুড়ছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। কিন্তু আবার একই ভুল হচ্ছে না তো? সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়া ছবি কী ভাবে নিষিদ্ধ হতে পারে? ‘অন্যায়’-এর দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ শাবানা আজ়মির।

Shabana Azmi hits out at those boycotting ‘The Kerala Story’

শাবানার দাবি, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম থেকে শংসাপত্র পাওয়া ছবিকে নিষিদ্ধ করতে চাওয়া আর সংবিধানকে নিজের হাতে তুলে নেওয়া একই অপরাধ। — ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২৩ ১৯:৫৯
Share: Save:

অদা শর্মা অভিনীত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে বিতর্কের ঝড়। তামিলনাড়ুর প্রেক্ষাগৃহ থেকে এই ছবি সরিয়ে নেওয়ার পর বাংলাতেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে এই ছবিটি। শান্তি-সৌহার্দ্য বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান মমতা। তবে, মুক্তির আগে থেকেই চর্চায় রয়েছে সুদীপ্ত সেন পরিচালিত ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ছবির ট্রেলার মুক্তির পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কেরালার নিখোঁজ মহিলাদের জোর করে ধর্মান্তরণ, লভ জিহাদ সংক্রান্ত বিষয়ের আধারে তৈরি এই ছবি। যা নিয়ে একাধিক বিরুদ্ধমত তৈরি হয়। সেগুলির বিরুদ্ধে মুখ খুললেন অভিনেত্রী শাবানা আজ়মি।

তিনি টুইটারে ক্ষোভ উগরে লেখেন, “যাঁরা ‘দ্য কেরালা স্টোরি’কে নিষিদ্ধ করার জন্য রব তুলেছেন তাঁরা ‘লাল সিংহ চড্ডা’কে নিষিদ্ধ করতে চাওয়ার দলের মতো একই ভুল করছেন।” শাবানার দাবি, “সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম থেকে শংসাপত্র পাওয়া ছবিকে নিষিদ্ধ করতে চাওয়া আর সংবিধানকে নিজের হাতে তুলে নেওয়া একই অপরাধ। কারও এই অধিকার নেই।”

মাত্র ২দিনে এই ছবি প্রায় ১৯ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। যদিও এই ছবি নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিল কেরল রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্ট, মাদ্রাজ হাই কোর্ট এবং কেরল হাই কোর্ট এই ছবির মুক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির যাবতীয় আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশে এই ছবিকে করমুক্ত ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। দিল্লিতেও ছবিকে করমুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বিজেপি। দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সরকারের কাছে বিজেপির দাবি, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিকে করমুক্ত করে কিশোরীদের এই ছবি দেখানোর ব্যবস্থা করা হোক।

পরিচালক দেখিয়েছেন, শুধু হিন্দু নয়, কেরলে এই ধর্মান্তরণের ‘ফাঁদে’ পা দিয়ে সর্বনাশ ডেকে এনেছেন খ্রিস্টান মহিলারাও। এই ছবির ট্রেলারে দাবি করা হয়েছে, কেরল থেকে ৩২ হাজার মহিলা ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য হয়েছেন।

সুদীপ্ত নিজে অবশ্য এই ছবিকে ‘ইসলামবিরোধী’ বলার ঘোর বিরোধী। তিনি জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবিরোধী একটি ছবি তিনি তৈরি করেছেন। নেপথ্যে রয়েছে অনেক গবেষণা, পরিশ্রম এবং তথ্যের চুলচেরা বিশ্লেষণ।

পরিচালকের কথায়, ‘‘আমি কখনওই বলিনি কেরলে যে সব মেয়েকে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে, তাঁরা আইসিস-এ যোগ দিচ্ছেন। আমার প্রশ্ন, মেয়েগুলো একেবারে উবে যাচ্ছে কী ভাবে?’’ কেরলে ধর্মান্তরণকে ঘিরে নিষ্ঠুর এবং করুণ চক্র চলছে বলে দাবি পরিচালকের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE