সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। ছবি: ফেসবুক।
সম্প্রতি পায়ের পাতার হাড় ভেঙে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিলেন সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। শনিবার রাতে সে সব তিনি ভুলেই গিয়েছেন! ওই দিন এআর রহমানের জীবন ও সৃজন নিয়ে রচিত গ্রন্থ ‘বিয়ন্ড রহমান: কালচার গ্লোবালি’ প্রকাশিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক অরিন্দম শীল, রাজর্ষি দে, শিল্পী রাঘব চট্টোপাধ্যায়, শিল্পী ঊষা উত্থুপ এবং অভিনেত্রী নিজে। সেখানেই অনুষ্ঠান শেষে সায়ন্তনীর বক্তব্য, “আনন্দের চোটে মেঘমুলুকে ভাসছি। আর এক জনকে জড়িয়ে ধরা বাকি। সেটা পূরণ হলে ভাল কাজ ছাড়া জীবনের থেকে আর কিছুই চাওয়ার নেই।”
শনিবার শহরে রহমান। শুনে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি সায়ন্তনী। কারণ, অভিনেত্রী বড় হয়েছেন তাঁর স্বপ্নের সুরকার-শিল্পীর গান শুনে। আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে বলেছেন, “আমন্ত্রণ পেয়ে আনন্দে লাফিয়ে উঠেছিলাম। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পৌঁছেছি, যাতে দেরি না হয়।” বইপ্রকাশের পরে ঊষা উত্থুপের সঙ্গে গলা মেলান রহমান। অনুষ্ঠান শেষে শিল্পী যখন বেরিয়ে যাচ্ছেন তখন তাঁকে অনুরোধ জানান অভিনেত্রী। বলেন, “আমি কি আপনার সঙ্গে নিজস্বী তুলতে পারি?” খুব ভিড় থাকায় বেশি কাছে যেতে পারছিলেন না। যাতে পায়ে আর আঘাত না লাগে। সঙ্গে সঙ্গে ভিড় সরিয়ে অভিনেত্রীকে ডেকে নেন রহমান। নিজস্বী তোলেন। এখানেই শেষ নয়, সায়ন্তনী ছবি, অনুষ্ঠানের ঝলক ভাগ করে নিতেই সেই সব রহমান দেখেছেন। সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন সায়ন্তনীর পোস্ট!
অভিনেত্রীর দাবি, বড় মনের মানুষ বলেই ‘রহমান স্যর’ অনায়াসে এই আচরণ করেছেন। তার পর হাসতে হাসতে বলেছেন, “ভারতের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ হৃতিক রোশনের সঙ্গে ছবি তুলেছি। এআর রহমান আমার ছবি ভাগ করে নিয়েছেন। বাকি শাহরুখ খান। যে দিন থেকে প্রেম কী তা বুঝতে শিখেছি, সে দিন থেকে এসআরকে আমার স্বপ্ন। খুব ইচ্ছে, ওঁকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলব।” আপাতত সেই অপেক্ষায় দিন গুনছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy