তরুণ মজুমদারের স্মৃতিতে শতাব্দী রায়
খুব মন খারাপের দিন আজ। গলা-বুকে ব্যথার দিন আজ। তনুদাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। ‘এনটি ওয়ান’-এ অফিস ছিল ওঁর। ওখানে যদি আমার শ্যুটিং চলত, শটের ফাঁকে ঠিক চলে যেতাম। তনুদা যে সমস্ত ছবি তৈরি করেছেন, বেশির ভাগ ছবিই বাণিজ্যিক ভাবে সফল। কিন্তু গভীরতা ছিল।
সেটে এক অন্য মানুষ ছিলেন তিনি। বকুনি, কানমলা একজন পরিচালক অভিনেতাদের সঙ্গে করবেন এখন কেউ ভাবতেই পারে না। তনুদার সেটে সেই সব কিছুই হত। স্নেহ থেকেই এগুলো আসে। মোট দু’টো ছবি করেছি ওঁর সঙ্গে। ‘পরশমণি’ আর ‘আপন আমার আপন’। আমি খুব কম বকুনি খেয়েছি।
রাশভারি মানুষ ছিলেন, তনুদার মজা ধরতে পারা বেশ কঠিন ছিল। দারুণ হাতের লেখা ছিল ওঁর। প্রথম যখন পরিচালনা করব ঠিক করি, তখন ওঁর কাছেই যাই। যদি একটু কিছু টিপস দিয়ে দেন। উনি বলেছিলেন, তোমার ছবি তুমি তোমার মতো করে তৈরি কর। শেষ বার দেখা হয়েছিল তাপসের বাড়িতে। কোনও এক পুজোর সময়। আস্তে আস্তে যোগাযোগও কমে এসেছিল।
তরুণ মজুমদারের ছবি মানেই গ্রাম বাংলার ছোঁয়া। তাঁর নায়িকাদের শাড়ি পরেই দেখে এসেছি। আমি ছিলাম তনুদার প্রথম নায়িকা যে কিনা ছবিতে প্যান্ট আর শার্ট পরেছিল। নতুন প্রজন্ম, যাঁরা ওঁর সান্নিধ্য পেল না, তাঁদের এ এক বড় মিস। অনেক কিছু শিখতেই পারল না তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy