মাত্র ২১ বছর বয়সে অভিনেত্রী অমৃতা সিংহকে বিয়ে করেছিলেন সইফ আলি খান। সেই সময় অমৃতার বয়স ৩৩। ১৯৯১ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন তাঁরা। প্রায় দেড় দশক সংসার করার পর ২০০৪ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় সইফ ও অমৃতার। তার প্রায় এক দশক পরে ২০১২ সালে বলিউড অভিনেত্রী করিনা কপূর খানের সঙ্গে চার হাত এক হয় সইফের। এই মুহূর্তে করিনার সঙ্গে সংসারী সইফ। যদিও আর কখনও বিয়ে করেননি অমৃতা। দুই সন্তান ইব্রাহিম আলি খান ও সারা খানকে একা হাতেই বড় করেছেন তিনি। এক সময় শোনা যায় অমৃতাকে না কি ততটা পছন্দ ছিল না সইফের মা শর্মিলার। এত বছর পর মা ও ঠাকুমার সম্পর্কের সমীকরণ কেমন জানালেন সইফ-কন্যা সারা।
আরও পড়ুন:
সইফ-অমৃতার যখন বিবাহবিচ্ছেদ হয়, সারার বয়স তখন মাত্র ৯ বছর। তার পরে মা আর ভাইয়ের সঙ্গেই থাকতেন অভিনেত্রী। বাবার সঙ্গে সারার সম্পর্ক ভালই। সইফ আর করিনা কপূরের বিয়ের পর সারার সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি হয়নি সইফের। ইনস্টাগ্রাম হোক কিংবা পাপারাৎজ়ির ক্যামেরায়, প্রায়শই বাবার সঙ্গে খোশমেজাজে দেখা যায় সারাকে। কিন্তু সারার জীবনের পুরোটাই মাকে ঘিরে। বার বার এ কথা স্বীকার করেছেন সারা। শুটিংয়ের ব্যস্ততার মাঝেও মায়ের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন তিনি। জীবনের প্রতি মুহূর্তেই সারার তাঁর মাকে চাই। যদিও বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকে কোনও দিনও এক ফ্রেমে ধরা দেননি সইফ-অমৃতা। অভিনেতার প্রসঙ্গে কখনও কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। যদিও সারার কথা অনুযায়ী ঠাকুমা শর্মিলার সঙ্গে অদ্ভুত বোঝাপড়ার সম্পর্ক। এক সাক্ষাৎকারে সারা বলেন, ‘‘আমার মায়ের বাবা-মা গত হয়েছেন। কিন্তু কখনও আমাদের কোনও কিছু প্রয়োজন হলে বড় ঠাম্মাকে সব সময় পাশে পেয়েছি। জীবনের অনেক বিষণ্ণ সময় আমার ঠাকুমা ভরসা হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। আসলে সম্পর্কের মূল্যবোধ বুঝতে শিখিয়েছে।’’