(বাঁ দিকে) কার্তিক আরিয়ান। সারা আলি খান। ছবি: সংগৃহীত।
দু’জনেই বলিউডের নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যে পরিচিত মুখ। এক জন ফিল্মি পরিবারের সদস্য হয়েও বলিউডে নিজের কেরিয়ার তৈরি করার জন্য তথাকথিত পথে হাঁটেননি। অন্য জন ফিল্মি পরিবারের কেউ না হয়েও নিজের মেধার জোরে বলিউ়ডে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন। এক জন সারা আলি খান। অন্য জন, কার্তিক আরিয়ান। একে অপরের সঙ্গে পরিচিতির কয়েক বছরের মধ্যেই একাধিক সমীকরণ তৈরি হয়েছে সারা ও কার্তিকের মধ্যে। ২০১৮ সালে বাবা সইফ আলি খানের সঙ্গে ‘কফি উইথ কর্ণ’-এ কর্ণ জোহরের কফি আড্ডায় এসে সারা জানিয়েছিলেন, কার্তিককে বেশ পছন্দ তাঁর। বছর খানেকের মধ্যে ইমতিয়াজ় আলির ‘লভ আজ কাল’ ছবির জন্য ক্যামেরার সামনে জুটি বাঁধেন সারা ও কার্তিক। শোনা যায়, ছবির প্রস্তুতি ও শুটিং চলাকালীন নাকি একে অপরের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেছেন তাঁরা। যদিও সেই প্রেম বেশি দিন টেকেনি। তবে তার পরে নিজেদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রেখেছেন সারা ও কার্তিক। সম্প্রতি বলিউড অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডের সঙ্গে ‘কফি উইথ কর্ণ’-এ এসে কার্তিকে সঙ্গে তাঁর সমীকরণ নিয়ে খোলা মনে কথা বলেছেন। তাতে বেজায় চটেছিলেন কার্তিক। এমনকি, এক সাক্ষাৎকারে নিজের অসন্তোষ প্রকাশও করেন অভিনেতা। সারার নাম উল্লেখ না করলেও কার্তিকের কথা থেকে স্পষ্ট হয়েছিল, তাঁকেই নিশানা করেছেন তিনি। এই ঘটনার দিন কয়েক পরেই ২২ নভেম্বর জন্মদিন কার্তিকের। প্রাক্তন প্রেমিকের জন্মদিনে কী বার্তা দিলেন সারা?
কার্তিক তাঁর উপরে চটলেও তাতে বিশেষ কান দিতে রাজি নন সারা। বরং বুধবার কার্তিকের জন্মদিনে তাঁর সঙ্গে নিজের একাধিক ছবি সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করেন সারা। কার্তিককে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানান ‘কেদারনাথ’ অভিনেত্রী। সঙ্গে জুড়ে দেন হাসির একটি ইমোজিও। কার্তিকের মনে তিক্ততা থাকলেও তিনি যে তা নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন, তা স্পষ্ট সারার পোস্ট দেখে। যদিও সারার জন্মদিনের শুভেচ্ছার এখনও কোনও উত্তর দেননি কার্তিক। জন্মদিনে সিদ্ধিবিনায়কে পুজো দিতে গিয়েছিলেন তিনি। বাড়িতে নিজের পরিবার ও পোষ্য কটোরির সঙ্গে জন্মদিন পালন করেন বলিউডের শেহজ়াদা।
‘কফি উইথ কর্ণ’-এর চলতি সিজ়নে সারাকে কর্ণ প্রশ্ন করেন, প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে কী ভাবে সহজ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখেন তিনি? উত্তরের সারা বলেন, ‘‘বিষয়টা এতটাও সোজা নয়। আমি যখন কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়াই, তখন আমি কোনও বিষয় নিয়েই উদাসীন থাকতে পারি না। তবে আমি এটাও শিখেছি যে, শেষ পর্যন্ত সেই আবেগ থেকে বেরিয়ে এসে সবার সঙ্গে একটা সুস্থ সম্পর্ক রাখতে হয়।’’ অতীতের সম্পর্ক নিয়ে সারা এত খোলামেলা ভাবে আলোচনা করায় চটে যান কার্তিক। এক সাক্ষাৎকারে কার্তিক বলেন, ‘‘আমার মনে হয় সম্পর্ক যখন দু’জন মানুষের মধ্যে তৈরি হয়, তখন তৃতীয় ব্যক্তির তা নিয়ে বেশি কথা না বলাই ভাল। একটা সম্পর্ক বা তার পরিণতি যা-ই হোক না কেন, সেটার প্রতি একটা শ্রদ্ধা থাকা উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy