গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই বার বার শিরোনামে উঠে এসেছে তাঁর নাম। প্রেমিকা রিয়ার সঙ্গে কাঠগড়ায় তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁকেও। তিনি সন্দীপ সিংহ। শুরু থেকেই নিজেকে সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করে এসেছেন নিজেকে।তাল কাটল যখন খোদ তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ বন্ধুর পরিবার, এমনকি, রিয়াও তাঁকে চিনতে অস্বীকার করেন।
অভিনেতার মৃত্যুর পর থেকেই তাঁকে ঘিরে ধরেছে নানা আলোচনা, ব্যক্তিগত আক্রমণ। শাসক দলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা নিয়েও রয়েছে একাধিক প্রশ্ন। তাঁর মুখ থেকে উচ্চারিত প্রায় প্রত্যেকটি শব্দ নিয়েই চলেছে কাটাছেঁড়া। অনেকে দৃঢ় কণ্ঠে তাঁকেই সুশান্তের মৃত্যুর জন্য প্রকারান্তরে দায়ী করেছেন।
অবশেষে মুখ খুললেন সন্দীপ। এ বার শুধু কথাই নয়, সামনে রাখলেন সুশান্ত ও তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট। ২০১৬ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত তাঁদের যাবতীয় কথাবার্তা উঠে এসেছে এই চ্যাটে।এই চ্যাট শেয়ার করার সময় বন্ধু সুশান্তের উদ্দেশে তিনি লেখেন, “আমাকে ক্ষমা করে দিস ভাই। শেষমেশ তোর আর আমার মধ্যে থাকা ব্যক্তিগত কথাগুলো এ ভাবে জনসমক্ষে আনতে হল। কিন্তু আমার নিস্তব্ধতা ২০ বছর ধরে তিলে তিলে তৈরি করা আমার এবং আমার পরিবারের ভাবমূর্তি ধ্বংস করে দিচ্ছিল।এই স্ক্রিনশটগুলোই আমার কাছে শেষ সম্বল হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের বন্ধুত্ব প্রমাণ করার জন্য।”
তারপরেই তিনি গত ১৪ জুনের সেই দুপুরের কথা মনে করেন। পরিচালক জানান, বন্ধুর মৃত্যুর খবর শুনে নিজেকে আটকাতে পারেননি তিনি। ছুটে গিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে। যদিও গিয়ে যা দেখেছিলেন তাতে অবাক হয়েছিলেন। এমন এক দুঃসময়ে সেখানে সুশান্তের দিদি মিতু ছাড়া আর কেউই উপস্থিত ছিলেন না।আক্ষেপের সুরেই তিনি লেখেন, “এই সময়ে দাঁড়িয়ে আমি ভাবি আমার কি এ ভাবে সেখানে ছুটে যাওয়াটা ভুল ছিল, বা সুশান্তের দিদির পাশে দাঁড়িয়ে বোকামি করলাম? হয়তো উচিত ছিল অন্য বন্ধুদের সেখানে পৌঁছনো অবধি অপেক্ষা করা।”
এরপরই তিনি সুশান্তের দিদি মিতুর সঙ্গে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট তুলে ধরেন। দেখা যায়, তিনি বিভিন্ন ভাবে অভিনেতার দিদিকে সাহায্য করার চেষ্টা করছেন। মিতুও সেই সময় যেন ভরসা খুঁজে পাচ্ছিলেন তাঁর মধ্যে। সুশান্তের ডেথ সার্টিফিকেটও তিনি আনতে বলেন সন্দীপকে।
সুশান্তের পরিবারকেও একহাত নিয়েছেন সন্দীপ। সুশান্তের পরিবারের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল না, সে কথা নিজেই জানান। প্রশ্ন করেন, “দুঃখের সময় তাঁর দিদির পাশে দাঁড়িয়ে ভাইয়ের শেষকৃত্য করতে সাহায্য করাটা কি খুব অন্যায়?”
সুশান্তের দেহ যে অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে যাওয়া হয় তার চালক কিছুদিন আগে দাবি করেন, সন্দীপ তাঁর সঙ্গে নাকি আলাদাভাবে কথা বলেছিলেন। সেই অভিযোগকেও ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন সুশান্তের বন্ধু। ঠিক একইভাবে তিনি মরিশাসে তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের খবরটিকেও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানান। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রমাণও পেশ করেন। পুলিশের তরফ থেকে তাঁকে দেওয়া চিঠির ছবি তিনি শেয়ার করেনইনস্টাগ্রামে। সেখানে লেখা, তিনি এ ধরনের কোনও ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই জড়িত নন।
তা হলে কি সন্দীপকে অকারণেই হাঁড়িকাঠে চড়ানো হচ্ছে? নাকি এত প্রমাণ পেশের পরেও কিছু আড়াল করছেন তিনি?এর উত্তর দেওয়ার সময় এখনও আসেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy