পরিচালক সন্দীপ রায়
ফেলুদার থেকেও বড় রহস্য ছড়িয়ে দিয়েছেন পরিচালক সন্দীপ রায়! নতুন ফেলুদা আনার কথা জানিয়ে।
২০২২-এ বড় পর্দার জন্য ফেলুদাকে আনছেন তিনি। আগামী শীত কি তা হলে ফেলুদার দখলে? বাঙালি আশা করতেই পারে। প্রযোজনায় এসভিএফ। নতুন ছবির পটভূমিকায় সত্যজিৎ রায়ের ‘হত্যাপুরী’। এই ছবিতেই নতুন ফেলুদা আসতে চলেছেন। অর্থাৎ, এত দিন যাঁদের ফেলু মিত্তিরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাঁদের কাউকে দেখা যাবে বা। ফেলুদার ভূমিকায় দেখা যাবে এমন কোনও অভিনেতাকে, যিনি এর আগে এই চরিত্রে অভিনয় করেননি। আনন্দবাজার অনলাইনকে পরিচালক জানিয়েছেন, আগামী মার্চ থেকে নতুন ছবির শ্যুট শুরু হওয়ার কথা। শ্যুট হবে পুরী, ভুবনেশ্বর, কলকাতা এবং স্টুডিয়োয়। সঙ্গীত পরিচালনায় সন্দীপ স্বয়ং।
ফেলুদা-স্রষ্টার লেখনি অনুযায়ী, পুরীর সমুদ্র সৈকতে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ আবিষ্কার করবে ফেলুদা-তোপসে-জটায়ু। তদন্তের শুরুতে তারা মুখোমুখি হয় ডিজি সেনের। যিনি বিরল পাণ্ডুলিপির সংগ্রাহক। রহস্যে নতুন মোড় আসে যখন ডিজি-র সংগ্রহ থেকে একটি বিরল পাণ্ডুলিপি হারিয়ে যায়। তিনিও নিখোঁজ হন। এবং পুরীতে মেলে আরও একটি মৃতদেহ! প্রকৃত ঘটনা কী? তারই হদিস গল্পের পরতে পরতে।
মুক্তির আগে রহস্য জিইয়ে রাখতে পরিচালক কিছুতেই ভাঙেননি নতুন ফেলুদার নাম।
কে হতে পারেন সন্দীপ রায়ের নতুন ছবির নতুন প্রদোষচন্দ্র মিত্র? তিনি কি ছোট পর্দার কোনও অভিনেতা? নাকি বড় পর্দার অতি চেনা কোনও মুখ? সন্দীপের কথায়, আপাতত এই ধাঁধা তিনি এবং প্রযোজনা সংস্থা রাখছেন বাঙালির সামনে। দর্শকেরা ভাবতে থাকুন, কাকে মানাবে এই চরিত্রে! আনন্দবাজার অনলাইন তেমনই কিছু সম্ভাব্য অভিনেতার নাম তুলে ধরছে। পাঠক, আপনারা দেখুন তো, কাকে উপযুক্ত মনে হয় আপনাদের?
অর্জুন চক্রবর্তী: ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্টি সত্যান্বেষী সোনাদার একনিষ্ঠ সহকারী, এই প্রজন্মের প্রতিনিধি। ছিপছিপে, ঝকঝকে চেহারার অভিনেতা যথেষ্ট বুদ্ধিদীপ্তও। সেটা ধরা পড়ে তাঁর চোখমুখেই। সদ্য তাঁকে দেখা গিয়েছে কিংবদন্তি চরিত্র ‘অপু’ হিসেবে। ঋতুপর্ণ ঘোষের ঘরানায় তৈরি এই অভিনেতা কি ফেলুদা হতে পারেন?
বিক্রম চট্টোপাধ্যায়: প্রযোজনা সংস্থার একাধিক সিরিজ, ছবির সঙ্গে এই মুহূর্তে যুক্ত। যেমন, ‘তানসেনের তারপুরা’, ‘রুদ্রবীণা’, ‘কুলের আচার’। তথাগত মুখোপাধ্যায়ের হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেছেন। নিয়মিত শরীরচর্চায় অভ্যস্ত এই অভিনেতাই কি বিকল্প ফেলুদা?
রাহুল দেব বোস: ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ। বড় পর্দাতেও সম্প্রতি তাঁকে দেখা গিয়েছে ‘তরুলতার ভূত’ ছবিতে। চেহারায় বুদ্ধিমত্তা এবং আভিজাত্যের ছাপ স্পষ্ট। ছোট-বড় পর্দা, সিরিজ মিলিয়ে রাহুলকে নানা চরিত্রে ইতিমধ্যেই দেখেছেন দর্শক। কোনও ভাবে তিনিই আগামী ফেলুদা নন তো?
ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত: কিরীটির ভূমিকায় তাঁকে দেখা গিয়েছিল। সুতরাং, ফেলুদা তিনি হতেই পারেন। পেটানো শরীরে, তীক্ষ্ণ নাক-চোখ-মুখের আদলে, চলনে বলনে গোয়েন্দা হয়ে ওঠার যাবতীয় গুণ রয়েছে তাঁর। অভিনয়েও যথেষ্ট দক্ষ। ইন্দ্রনীলই কি সন্দীপ রায়ের পছন্দ হতে চলেছেন?
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়: এই অভিনেতার সম্ভাবনা সবার থেকে প্রবল। তিনি সিরিজে ফেলুদা হয়েছেন। যদিও তা বেশ কিছু দিন আগে। রহস্য-রোমাঞ্চ ছবিতেই তাঁকে বেশি দেখা যায়। প্রযোজনা সংস্থারও পছন্দের অভিনেতা। চেহারা, অভিজ্ঞতা, অভিনয়ের ধার বলছে, পাল্লা যথেষ্ট ভারী পরমব্রতর দিকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy