আয়ুশ শর্মা এবং সলমনের সঙ্গে ওয়ারিনা
বন্দুকের নলে ক্ষমতা দখল। সম্প্রতি তালিবান যোদ্ধারা যে ভাবে আফিগানিস্তান অধিগ্রহণ করল, ২০ বছর আগেও একই চেহারা দেখেছিলেন আফগানরা। একই ভাবে তালিবানের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। সেই মানুষের ভিড়ে ছিলেন সলমনের সহ-অভিনেত্রী ওয়ারিনা হোসেন। কাবুল-সহ প্রায় গোটা আফগানিস্তানকে ফের তালিবানের কবলে যেতে দেখে সেই আতঙ্ক ঘিরে ধরেছে তাঁকেও। মনে পড়ছে ২০ বছর আগের কথা। সাক্ষাৎকারে সেই কথাই জানালেন ‘লভযাত্রী’-র নায়িকা।
২০ বছর আগে তালিবানের হাত থেকে বাঁচতে ওয়ারিনার গোটা পরিবার সে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসেন ভারতে। তার পর থেকে এই দেশকেই নিজের দেশ হিসেবে ভালবাসেন ওয়ারিনা। কিন্তু আফগানিস্তানের কথা মনে পড়ে তাঁর। সপরিবার বনভোজন করার দিনগুলি ভেসে ওঠে তাঁর চোখের সামনে। কাবুলের মনোরম বসন্তে কত সুন্দর সময় কাটাতেন তাঁরা! ওয়ারিনা সেই দিনগুলির সঙ্গে এখনকার সময়কে তুলনা করে বললেন, ‘‘এখন সে দেশে শুধু শোষণ এবং অত্যাচারের বাতাস বইছে। আগের মতো সুন্দর আফগানিস্তান বোধহয় আর ফিরবে না।’’
ওয়ারিনা এখন সে দেশের জনসাধারণের কথা ভেবে আতঙ্কিত। বললেন, ‘‘ফের শরণার্থীর সংখ্যা বাড়বে। আমি জানি, এত মানুষকে জায়গা দেওয়া সম্ভব নয় কোনও দেশের পক্ষেই। কিন্তু তাও আমি অনুরোধ করব সমস্ত রাষ্ট্রনেতাকে, এই কঠিন সময়ে আফগানদের পাশে দাঁড়ান। আমি চাই না আফগান মহিলারা নিজেদের দেশেই দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে বসবাস করুন। আমি সৌভাগ্যবান যে ভারত সে সময়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে গ্রহণ করেছিল।’’
‘দবং ৩’-এর অভিনেত্রীর ভয়, মহিলাদের এখন শুধু প্রজননের যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে। সেটা তিনি কোনও দিনও চান না। ওয়ারিনার আক্ষেপ, গত ২০ বছর ধরে তিল তিল করে সে দেশ উন্নতির মুখ দেখছিল, কিন্তু এখন সেই সমস্ত প্রচেষ্টা শেষ হয়ে গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy