সলমনের সঙ্গে দেখা করতে সাইকেল চালিয়ে জবলপুর থেকে মুম্বই এসেছিলেন সমীর। ছবি: সংগৃহীত।
যে ভাবে হোক সলমন খানের জন্মদিনের আগে পৌঁছতেই হবে মুম্বই। সেই সঙ্কল্প নিয়ে সাইকেলে উঠে পড়েছিলেন সমীর। গত ২৭ ডিসেম্বর সলমনের ৫৭ বছরের জন্মদিনে দেখা করেই ছাড়লেন।
মুম্বইয়ে সলমনের বাসভবনের সামনে সে দিন জনসমুদ্র। জড়ো হয়েছিলেন অগুনতি অনুরাগী। কিন্তু এক জনের সঙ্গেও দেখা করেননি অভিনেতা। তবে সমীর যখন এলেন, তখন আর দর্শন না দিয়ে থাকতে পারলেন না। বিস্ময়ে হতবাক ‘ভাইজান’ শুনলেন, মধ্যপ্রদেশের জবলপুর থেকে প্রায় হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মুম্বইয়ে পৌঁছেছেন তাঁর সেই ভক্ত। সাইকেল চালিয়েছেন ৫ দিন ধরে! শীত তখন কাবু করে দেওয়ার মতো। তবু সলমনকে এক বার চোখের দেখা দেখতে ‘এইটুকু’ করেই ফেলেছেন ভক্ত।
সমীরের সঙ্গে ছবি তুলতে আপত্তি করেননি সলমন। নিজের হাতে সমীরের সাইকেল ধরে সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। সাইকেলের গায়ে লেখা সলমনেরই সংস্থা ‘বিইং হিউম্যান’-এর নাম। পিছনে দাঁড়িয়েছিলেন সমীর। আর একটি ছবিতে সমীরের কাঁধে হাত দিয়ে সলমন। দু’টি ছবি ঘুরছে নেটদুনিয়ায়। ভক্ত আর ভগবান উভয়কেই কুর্নিশ করছেন সবাই।
সমীরের সাইকেলের সামনে একটি বোর্ড ছিল। যাতে লেখা, “চলো, তাঁকে ভাল করে শুভেচ্ছা জানানো যাক।” সেই সঙ্গে আর এক লাইনে লেখা ছিল সলমনের ছবির এক জনপ্রিয় গান, ‘দিওয়ানা ম্যায় চলা’।
সমীরের স্বপ্ন সত্যি হয় সে দিন। যদিও ছবি প্রকাশ্যে আসে মঙ্গলবার। সংবাদমাধ্যমকে সমীর জানান, সলমন তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এত পথ এসে সুস্থ বোধ করছেন তো সমীর? জিজ্ঞাসা করেন তাঁকে। সমীরের পরিবারের খবরও নেন। সমীর অবশ্য ক্লান্তিহীন। জানান, গত ২২ ডিসেম্বর জবলপুর থেকে সাইকেলে ওঠেন। সলমনের বাড়িতে পৌঁছে যান ২৭ ডিসেম্বর। সমীরকে দেখে সলমনের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। তিনিও যে জন্মেছিলেন মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে! জন্মদিনে ঘরের গন্ধ বয়ে এনে দিয়েছেন যিনি, তাঁকে ফেরানো কার সাধ্যি!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy