সলমন খান।
বন্দুক রাখার লাইসেন্স দেওয়া হল অভিনেতা সলমন খানকে। সোমবার মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, এক মাস আগেই নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি চেয়েছিলেন সলমন। সম্প্রতিই সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। গত মে মাসে পঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসে ওয়ালাকে হত্যার পর সলমনও খুনের হুমকি পাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন। তার জেরেই অভিনেতাকে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমোদন দেওয়া হল বলে অনুমান।
সলমনকে যে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে তা পুলিশকে জানিয়েছিলেন অভিনেতা নিজে এবং তাঁর পরিবার। সলমনের বাবা সেলিম খান জুন মাসে একটি হুমকি চিঠিও খুঁজে পান তাঁদের বাড়ির চত্বরে। চিঠিটি রাখা ছিল একটি বেঞ্চে, যেখানে রোজ জগিং করে এসে বিশ্রাম নেন অভিনেতা। এর পরেই গত মাসে অর্থাৎ জুলাইয়ে মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে সলমন আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতি চান বলে সূত্রের খবর।
ওই একই সূত্র জানিয়েছে, জুলাইয়ের শেষে মুম্বই পুলিশের সদর দফতরে গিয়েছিলেন সলমন। সেখানে তিনি মুম্বই পুলিশের শীর্ষ কর্তা বিবেক ফানসালকারের সঙ্গে দেখা করেন। জানা গিয়েছে, বিবেককে তিনি বলেছিলেন, আত্মরক্ষার্থে নিজের কাছে একটি বন্দুক রাখতে চান। এমনকি, ওই বন্দুক থাকলে তিনি তাঁর পরিবারকে রক্ষা করতে পারবেন বলেও জানিয়েছিলেন সলমন। মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশের সদর দফতরে সলমনের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাও হয়, যা বন্দুকের অনুমোদন পাওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক। তার পরই সোমবার মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হয়, অভিনেতাকে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অনুমতিপত্র দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সলমন খান কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৯৮ সালে একটি ছবির শ্যুটিংয়ের ফাঁকে আইন ভেঙে বিরল প্রজাতির হরিণ শিকারের অভিযোগ রয়েছে। গত ২৯ মে পঞ্জাবে গায়ক মুসেওয়ালাকে হত্যার পর কুখ্যাত অপরাধী লরেন্স বিষ্ণোই সলমনকেও খুনের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ ছিল। সূত্রের খবর, ওই হুমকির সঙ্গেও কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলার যোগ রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy